বহুল আলোচিত বৈঠকে বসেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
শুক্রবার (১৩ জুন) বাংলাদেশ সময় দুপুর ২টার দিকে লন্ডনের অভিজাত হোটেল ডোরচেস্টার-এ এই বৈঠক শুরু হয়।
বৈঠকটি প্রায় দুই ঘণ্টাব্যাপী চলবে বলে জানা গেছে। এতে আগামী জাতীয় নির্বাচনের রোডম্যাপ, অন্তর্বর্তী সরকারের গৃহীত বিভিন্ন রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত এবং তারেক রহমানের দেশে ফেরার বিষয় নিয়ে আলোচনা হতে পারে।
এর আগে, বাংলাদেশ সময় দুপুর ১টার দিকে লন্ডনের নিজ বাসা থেকে রওনা হয়ে হোটেল ডোরচেস্টারে পৌঁছান তারেক রহমান।
গত কয়েকদিন ধরেই এই বৈঠক নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে ব্যাপক আলোচনা চলছিল। অবশেষে গত সোমবার (৯ জুন) সরকার ও বিএনপির পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে বৈঠকের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়। এর পর থেকেই আলোচ্যসূচি নিয়ে নানা ধরনের জল্পনা-কল্পনা শুরু হয়—বিশেষ করে, তারেক রহমান কোন ইস্যুগুলো তুলে ধরবেন, সেটি ছিল কেন্দ্রবিন্দুতে।
বিএনপির সূত্রমতে, সোমবার (৯ জুন) অনুষ্ঠিত দলটির স্থায়ী কমিটির বৈঠকে বৈঠকে আলোচনার পূর্ণ দায়িত্ব তারেক রহমানের ওপর অর্পণ করা হয়।
দলীয় ঘনিষ্ঠ সূত্রগুলো জানায়, বৈঠকে তারেক রহমান তিনটি প্রধান ইস্যুতে কথা বলবেন:
১. নির্বাচন
২. রাজনৈতিক সংস্কার
৩. বিচারপ্রক্রিয়া
তবে বৈঠকের মূল ফোকাস থাকবে আগামী জাতীয় নির্বাচন ঘিরে। অন্তর্বর্তী সরকার ঈদুল আজহার আগের দিন যে রোডম্যাপ প্রকাশ করেছে—যেখানে ২০২৬ সালের এপ্রিলের প্রথমার্ধে নির্বাচন আয়োজনের কথা বলা হয়েছে—বিএনপি এটিকে বাস্তবসম্মত মনে করছে না। দলটির মতে, ২০২৫ সালের ডিসেম্বরেই নির্বাচন আয়োজন উপযুক্ত হবে।
তবে বিকল্প হিসেবে ২০২৬ সালের জানুয়ারি বা ফেব্রুয়ারিতে, অর্থাৎ রমজানের আগেই নির্বাচন হলে দলটির আপত্তি থাকবে না বলেও জানা গেছে।
উল্লেখ্য, চার দিনের সরকারি সফরে বর্তমানে লন্ডনে অবস্থান করছেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। অন্যদিকে, ২০০৮ সাল থেকে তারেক রহমান পরিবারসহ সেখানেই অবস্থান করছেন।
এসআর
মন্তব্য করুন: