কাঁচা চামড়ার দাম নিয়ে সামাজিক ও মূলধারার গণমাধ্যমে বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানো হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দিন।
রোববার (৮ জুন) রাজধানীতে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, এ ধরনের তথ্য চামড়ার বাজারে অস্থিরতা তৈরির ষড়যন্ত্রের অংশ।
তিনি জানান, চলতি বছরে কোরবানির পশুর কাঁচা চামড়ার দাম গত বছরের তুলনায় বেশি নির্ধারণ করা হয়েছে এবং অধিকাংশ ক্ষেত্রে তা বাস্তবায়িত হচ্ছে। “আমরা যে মূল্য নির্ধারণ করেছি, তা লবণসহ চামড়ার জন্য। এখন অনেক জায়গায় চামড়া ৭০০ থেকে ৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যেগুলো অনেক সময় মৌসুমি ব্যবসায়ীদের কারণে আধাপচা হয়ে যাচ্ছে। অথচ ভালো মানের চামড়া ১,২০০ থেকে ১,৩০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে,” বলেন তিনি।
বাণিজ্য উপদেষ্টা আরও বলেন, “চামড়ার বাজারে ধস নামাতে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী ইচ্ছাকৃতভাবে ভুল তথ্য ছড়াচ্ছে। সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে অনেক কমে চামড়া বিক্রি হচ্ছে বলে যেসব তথ্য ছড়ানো হচ্ছে, সেগুলো সঠিক নয়।”
চলতি বছরের ২৬ মে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় কোরবানির পশুর চামড়ার দর নির্ধারণ করে। ঢাকায় প্রতি বর্গফুট গরুর লবণযুক্ত চামড়ার দাম নির্ধারণ করা হয় ৬০–৬৫ টাকা, যা গত বছর ছিল ৫৫–৬০ টাকা। ঢাকার বাইরে এ দর ৫৫–৬০ টাকা, যা গত বছর ছিল ৫০–৫৫ টাকা। এছাড়া ঢাকায় সর্বনিম্ন কাঁচা চামড়ার দাম নির্ধারণ করা হয় ১,৩৫০ টাকা এবং ঢাকার বাইরে ১,১৫০ টাকা। খাসির লবণযুক্ত চামড়া ২২–২৭ টাকা এবং বকরির চামড়া ২০–২২ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের তথ্যমতে, এ বছর কোরবানির পশুর চাহিদা ছিল প্রায় ১ কোটি ৩ লাখ ৮০ হাজার।
এর বিপরীতে প্রস্তুত ছিল প্রায় ১ কোটি ২৪ লাখ ৪৭ হাজার পশু। ট্যানারি মালিকদের লক্ষ্য, এবারের কোরবানির মৌসুমে প্রায় ৮০ থেকে ৮৫ লাখ চামড়া সংগ্রহ করা।
এসআর
মন্তব্য করুন: