নগদে অনিয়মের প্রাথমিক সত্যতা পেয়েছে দুদক, জিজ্ঞাসাবাদে তলব হতে পারে আতিক ও জুঁই

মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান ‘নগদ’-এ নিয়োগপ্রক্রিয়ায় অনিয়ম এবং ১৫০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে প্রাথমিক সত্যতা পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)

রোববার (১ জুন) রাজধানীর বনানীতে নগদের প্রধান কার্যালয়ে অভিযান পরিচালনা করে দুদকের একটি দল।

দুদকের প্রধান কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, এই এনফোর্সমেন্ট অভিযানে নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগের প্রাথমিক প্রমাণ পাওয়া গেছে। রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদক কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে সংস্থার মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) আক্তার হোসেন বলেন, “নিয়োগে অনিয়ম সংক্রান্ত অভিযোগে নগদে অভিযান চালানো হয়েছে। অভিযান শেষে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।”

তলবের সম্ভাবনায় আতিক ও জুঁই

অভিযান শেষে দুদকের পক্ষ থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নিয়োগপ্রক্রিয়ায় অনিয়মের বিষয়টি অধিকতর তদন্তের প্রয়োজন রয়েছে। এ লক্ষ্যে প্রধান উপদেষ্টার আইসিটি বিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যবের ব্যক্তিগত কর্মকর্তা আতিক মোর্শেদ এবং তার স্ত্রী জাকিয়া সুলতানা জুঁইকে জিজ্ঞাসাবাদে তলব করা হতে পারে।

১৫০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে অনুসন্ধান

এছাড়া নগদের বিরুদ্ধে ১৫০ কোটি টাকা আত্মসাতের একটি গুরুতর অভিযোগ তদন্তাধীন রয়েছে। দুদক জানিয়েছে, অভিযোগের সত্যতা যাচাইয়ের জন্য প্রতিষ্ঠানটির কাছ থেকে প্রয়োজনীয় রেকর্ডপত্র সংগ্রহ করা হচ্ছে।
রেকর্ড যাচাই-বাছাই শেষে বিস্তারিত বিশ্লেষণ করে কমিশনের কাছে পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে।

পরবর্তী পদক্ষেপ

দুদকের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, প্রাপ্ত তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অনুসন্ধান প্রক্রিয়ার অগ্রগতির ওপর নির্ভর করে আরও সংশ্লিষ্টদের জিজ্ঞাসাবাদও হতে পারে।