[email protected] রবিবার, ২৫ মে ২০২৫
১১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

সব দল প্রধান উপদেষ্টার প্রতি সমর্থন জানিয়েছে: প্রেস সচিব

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২৫ মে ২০২৫ ১২:১০ এএম

ফাইল  ছবি

হঠাৎ উত্তপ্ত হয়ে ওঠা রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বিএনপি, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ও জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে পৃথক বৈঠক করেছেন।

বৈঠক শেষে শনিবার রাত সোয়া ১০টার দিকে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।

তিনি জানান, অংশগ্রহণকারী প্রতিটি রাজনৈতিক দলই প্রধান উপদেষ্টার প্রতি তাদের আস্থা ও সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছে। কারও পক্ষ থেকেই তার পদত্যাগের দাবি তোলা হয়নি। বরং সবাই প্রয়োজনীয় সহায়তা ও সময় দিতে প্রস্তুতির ইঙ্গিত দিয়েছে।

বৈঠকগুলোতে রাজনৈতিক অস্থিরতা, আসন্ন নির্বাচনের সময়সীমা, বিচারব্যবস্থা এবং কাঙ্ক্ষিত রাজনৈতিক সংস্কার ইত্যাদি বিষয়ে আলোচনা হয়। প্রেস সচিব বলেন, “প্রধান উপদেষ্টা আবারও স্পষ্ট করেছেন, নির্বাচন ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যে হবে। জুনের ৩০ তারিখ একটি নির্ধারিত সময়সীমা হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। তিনি এ বিষয়ে অটল রয়েছেন।”

একজন সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে শফিকুল আলম বলেন, “প্রফেসর ইউনূস এক কথার মানুষ। তিনি বলেছেন, জুনের ৩০ তারিখের মধ্যেই নির্বাচন হবে। এর বাইরে যাবে না।”

এর আগে রাত সাড়ে ৭টার দিকে বিএনপির চার সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল যমুনায় প্রবেশ করে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে অংশ নেয়। প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন। সঙ্গে ছিলেন ড. আব্দুল মঈন খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও সালাহউদ্দিন আহমদ।

পরে জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে আমির ডা. শফিকুর রহমান ও নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।

রাত সাড়ে ৮টার দিকে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) চার সদস্যের প্রতিনিধি দল প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে বসে। এতে নেতৃত্ব দেন দলের আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। দলের অন্য সদস্যরা হলেন—মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আবদুল্লাহ, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম আদীব এবং সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিব তাসনিম জারা।

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে এই ধারাবাহিক বৈঠকগুলোকে রাজনৈতিক অচলাবস্থা নিরসনের অংশ হিসেবে দেখা হচ্ছে। রাজনৈতিক দলগুলোর কাছ থেকে ইতিবাচক সাড়া পাওয়ায় আশা করা হচ্ছে, আগামী দিনে একটি অংশগ্রহণমূলক ও সুষ্ঠু নির্বাচনের পথ সুগম হবে।

এসআর

মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর