দায়িত্ব পালনে বাধা এলে জনগণকে জানিয়ে সিদ্ধান্ত নেবে সরকার: উপদেষ্টা পরিষদের সতর্ক বার্তা

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস পদত্যাগ করছেন—গত কয়েকদিন ধরে এমন গুঞ্জন ছড়ালেও পরিকল্পনা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ শনিবার স্পষ্ট করে জানিয়েছেন, তিনি পদত্যাগ করছেন না।

জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভা শেষে দুপুরে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে উপদেষ্টা পরিষদের এক অনির্ধারিত বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক শেষে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়, যদি কোনো পরাজিত গোষ্ঠীর ইন্ধন এবং বিদেশি ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে সরকারের ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালনে বাধা সৃষ্টি করা হয়, তাহলে সরকার সবকিছু জনসমক্ষে তুলে ধরে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবে।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, সরকারের স্বকীয়তা, সংস্কার প্রক্রিয়া, বিচার কার্যক্রম এবং অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন বাস্তবায়নে কেউ যদি পরিকল্পিতভাবে বাধা সৃষ্টি করে, তাহলে অন্তর্বর্তী সরকার জনগণকে সঙ্গে নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

সভায় অন্তর্বর্তী সরকারের ওপর অর্পিত তিনটি মূল দায়িত্ব—নির্বাচন আয়োজন, কাঠামোগত সংস্কার এবং বিচার প্রক্রিয়ার অগ্রগতি—নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। এতে ড. মুহাম্মদ ইউনূস সভাপতিত্ব করেন এবং ১৯ জন উপদেষ্টা উপস্থিত ছিলেন।

বিবৃতিতে অভিযোগ করা হয়, অযৌক্তিক দাবি, এখতিয়ার বহির্ভূত বক্তব্য ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত কর্মসূচির মাধ্যমে সরকারকে ব্যর্থ করার অপচেষ্টা চলছে। এতে জনমনে বিভ্রান্তি ও সন্দেহের সৃষ্টি হচ্ছে।

উপদেষ্টা পরিষদ মনে করে, দেশকে স্থিতিশীল রাখতে এবং নির্ধারিত দায়িত্ব যথাযথভাবে পালনের জন্য বৃহত্তর জাতীয় ঐক্য জরুরি। সেই লক্ষ্যে সরকার সব রাজনৈতিক দলের মতামত শুনবে এবং নিজেদের অবস্থান স্পষ্টভাবে উপস্থাপন করবে।

বিবৃতির শেষাংশে বলা হয়, অন্তর্বর্তী সরকার 'জুলাই অভ্যুত্থান'–পরবর্তী সময়ের গণমানুষের প্রত্যাশাকে ধারণ করে শত প্রতিকূলতার মধ্যেও দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে। তবে দায়িত্ব পালনে বাধা আরও বাড়লে, তা মোকাবেলায় জনসমর্থন নিয়ে সরকার প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হবে।