[email protected] শনিবার, ৩১ মে ২০২৫
১৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

দুই উপদেষ্টার সাবেক এপিএস-পিওকে ডেকেছে দুদক

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৫ মে ২০২৫ ৬:৩৭ পিএম

ফাইল ছবি

সরকারের দুই উপদেষ্টার সাবেক সহকারী একান্ত সচিব (এপিএস) ও ব্যক্তিগত কর্মকর্তাদের (পিও) বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগের অনুসন্ধানে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

একইসঙ্গে তলব করা হয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) এক সাবেক নেতাকে।

বৃহস্পতিবার (১৫ মে) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেন দুদকের মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন। তিনি জানান, এনসিপির সাবেক যুগ্ম সদস্যসচিব গাজী সালাউদ্দিন আহমেদ তানভীরকে ২১ মে, উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার সাবেক এপিএস মো. মোয়াজ্জেম হোসেনকে ২২ মে, এবং উপদেষ্টা নুরজাহান বেগমের সাবেক পিও তুহিন ফারাবি ও বর্তমান পিও মাহমুদুল হাসানকে ২০ মে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হয়েছে।

দুদকের পক্ষ থেকে জানানো হয়, তুহিন ফারাবির বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার, তদবির বাণিজ্য ও চাঁদাবাজির মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ রয়েছে। একই ধরনের অভিযোগ রয়েছে মোয়াজ্জেম হোসেন ও মাহমুদুল হাসানের বিরুদ্ধেও। তাদের বিরুদ্ধে ইতোমধ্যে অনুসন্ধান কার্যক্রম শুরু করেছে দুদকের একটি বিশেষ দল।

এছাড়া এনসিপির সাবেক নেতা গাজী সালাউদ্দিন আহমেদ তানভীরের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, টেন্ডার বাণিজ্য, ক্ষমতার অপব্যবহারসহ নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ রয়েছে। এসব অভিযোগের বিষয়ে বিভিন্ন দপ্তর থেকে তথ্য ও রেকর্ড সংগ্রহ করা হচ্ছে।

এর আগে উপদেষ্টাদের পক্ষ থেকে ৮ এপ্রিল ও ২২ এপ্রিলের প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে মোয়াজ্জেম হোসেন ও তুহিন ফারাবিকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। একইভাবে এনসিপি থেকে ২১ এপ্রিল সাময়িক অব্যাহতি পান গাজী সালাউদ্দিন, যার বিরুদ্ধে এনসিটিবির পাঠ্যবই ছাপানোর কাগজ কেনায় দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে।

দুদক কার্যালয়ের সামনে অবস্থান কর্মসূচি

এদিকে, দুর্নীতির অভিযোগের তদন্ত অগ্রগতি জানতে বৃহস্পতিবার দুপুরে দুদক কার্যালয়ের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করে বাংলাদেশ যুব অধিকার পরিষদ। বেলা ২টার দিকে শুরু হওয়া এই কর্মসূচি থেকে সংগঠনটির দুই নেতা দুদক কার্যালয়ে প্রবেশ করে দুদক চেয়ারম্যান বরাবর লিখিত আবেদন জমা দেন।

সংগঠনের সাংগঠনিক সম্পাদক মুনতাজুল ইসলাম বলেন, “দুদক অনুসন্ধান শুরু করলেও এখন পর্যন্ত দৃশ্যমান কোনো অগ্রগতি নেই। আমরা আশঙ্কা করছি, রাষ্ট্রীয় প্রভাব খাটিয়ে তদন্ত প্রক্রিয়া ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা হতে পারে। আমরা চাই, অভিযুক্তদের গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ ও দ্রুত মামলা দায়ের করা হোক, যেন জনগণের আস্থা বজায় থাকে।”

এসআর

মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর