দুর্নীতির অভিযোগে অভিযুক্ত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে আনতে কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)
ভারতের সঙ্গে পূর্বে স্বাক্ষরিত বন্দি বিনিময় চুক্তির আওতায় তাকে ফেরত আনার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন দুদক চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আব্দুল মোমেন।
বুধবার (১৪ মে) রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদক কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, “আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ২০১১ সালে ভারতের সঙ্গে বন্দি বিনিময় চুক্তি হয়েছিল। ওই চুক্তির আওতায় শেখ হাসিনাকে ফিরিয়ে আনা সম্ভব। আমরা আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী পদক্ষেপ নেব।”
এ সময় তিনি জানান, শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার, জালিয়াতি ও দুর্নীতির অভিযোগে একাধিক মামলা তদন্তাধীন রয়েছে।
এর মধ্যে রাজউকের একটি আবাসন প্রকল্প থেকে জালিয়াতির মাধ্যমে ১০ কাঠা করে মোট ৬০ কাঠা জমি বরাদ্দ নেওয়ার অভিযোগে শেখ হাসিনা, তার পরিবারের সদস্যসহ মোট ২৩ জনের বিরুদ্ধে ছয়টি মামলা করেছে দুদক।
দুদক চেয়ারম্যান জানান, একই মামলায় অভিযুক্ত ব্রিটিশ এমপি টিউলিপ সিদ্দিক নির্ধারিত তারিখে হাজির না হওয়ায় তার ব্যাপারে নতুন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
“টিউলিপ আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ পেয়েছিলেন, কিন্তু তিনি অনুপস্থিত থাকায় সেই সুযোগ হারিয়েছেন। এখন আন্তর্জাতিক প্রক্রিয়া অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে,” বলেন দুদক চেয়ারম্যান।
তিনি আরও বলেন, “যদি তাকে স্বাভাবিকভাবে হাজির করা না যায়, কিংবা তিনি বিদেশি নাগরিক হিসেবে পলাতক থাকেন, তাহলে তাকে ‘অ্যাবস্কন্ডিং’ (পলাতক) হিসেবে বিবেচনা করা হবে। প্রয়োজনে ইন্টারপোলের সহযোগিতাও নেওয়া হবে।”
উল্লেখ্য, গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে পদত্যাগ করে ভারত চলে যান শেখ হাসিনা।
এরপর অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হলে তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগে মামলা দায়ের করে দুদক। গত ২৩ এপ্রিল দুদক জানায়, শেখ হাসিনা ও টিউলিপ সিদ্দিককে দেশে ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
এসআর
মন্তব্য করুন: