[email protected] শনিবার, ৩১ মে ২০২৫
১৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

বিনিয়োগে নানা সংকট, সমাধানে রাজনৈতিক সংলাপ শুরু: বিডা চেয়ারম্যান

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৩ মে ২০২৫ ৯:৪২ পিএম

ফাইল ছবি

বাংলাদেশে বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ গড়ে তুলতে নীতিগত ধারাবাহিকতা ও কাঠামোগত সংস্কারের ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) ও বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেজা) নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক বিন হারুন।

তিনি বলেন, “আমাদের দেশে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে একাধিক চ্যালেঞ্জ রয়েছে। এসব সংকট কাটিয়ে উঠতে আমরা নিরলস কাজ করে যাচ্ছি।”

মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিডার প্রধান কার্যালয়ের কনফারেন্স হলে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন। রাজনৈতিক দলগুলোর পরামর্শ গ্রহণের লক্ষ্যে এই সভার আয়োজন করে বিডা, যেখানে ১৭টি রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।

চৌধুরী আশিক বলেন, “বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থান একটি জাতীয় স্বার্থের বিষয়, যা কোনো রাজনৈতিক বা দলীয় স্বার্থের ঊর্ধ্বে। আগামী ছয় থেকে আট মাসের মধ্যে কী কী পদক্ষেপ নেওয়া হবে—তা নিয়ে ফলপ্রসূ আলোচনা ও সহযোগিতা কামনা করছি।”

সভায় বিডার হেড অব বিজনেস ডেভেলপমেন্ট নাহিয়ান রহমান রচি বিডার সংস্কার পরিকল্পনা, বর্তমান অগ্রগতি এবং আসন্ন বিনিয়োগ সম্মেলন নিয়ে একটি প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন। তিনি জানান, ২০০ জনের বেশি দেশি বিনিয়োগকারী ও অংশীজনদের মতামতের ভিত্তিতে বিনিয়োগে পাঁচটি প্রধান চ্যালেঞ্জ চিহ্নিত করেছে বিডা:
১. সরকারি পরিষেবার মান
২. নীতির ধারাবাহিকতা
৩. শিল্পখাতের সঙ্গে পরামর্শের ঘাটতি
৪. দুর্নীতি
৫. সম্পদের যথাযথ ব্যবহার

এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বিডা স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদে বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেছে বলে সভায় জানানো হয়।

চৌধুরী আশিক আরও বলেন, “চট্টগ্রাম বন্দর আমাদের জাতীয় সম্পদ। এটিকে আন্তর্জাতিক মানের বন্দরে রূপান্তরের জন্য আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তবে জাতীয় স্বার্থ ও আঞ্চলিক নিরাপত্তার সঙ্গে কোনো আপস করা হবে না।”

তিনি জানান, স্থানীয় বিনিয়োগকারীদের ভূমিকা বিবেচনায় নিয়ে পরবর্তী প্রেজেন্টেশনে তাদের বিষয়টি বিশেষভাবে তুলে ধরা হবে। একই সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে এ ধরনের সংলাপ নিয়মিত আয়োজনের আশাবাদও ব্যক্ত করেন তিনি।

সভায় অংশ নেওয়া রাজনৈতিক দলগুলো বিডার এ উদ্যোগকে স্বাগত জানায় এবং তাদের সংস্কার কর্মসূচিতে পূর্ণ সমর্থন জানান। দেশি বিনিয়োগকারীদের উৎসাহিত করতে আলাদা পরিকল্পনা নেওয়ার জন্যও তারা আহ্বান জানান।

সভায় অংশ নেওয়া দলগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো: বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, গণসংহতি আন্দোলন, নাগরিক ঐক্য, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টি, বাংলাদেশ জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল, আমার বাংলাদেশ পার্টি, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ), বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন, এবং ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ।

এসআর

মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর