সারা দেশে বজ্রপাতে শিশুসহ ৯ জনের মৃত্যু

রবিবার (১১ মে) দুপুর থেকে বিকেল ৫টার মধ্যে দেশের বিভিন্ন জেলায় বজ্রপাতে শিশুসহ ৯ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর ও আখাউড়ায় প্রাণ হারিয়েছেন ৫ জন, কিশোরগঞ্জে ৩ জন এবং হবিগঞ্জে ১ জন।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া:
নাসিরনগর উপজেলায় বজ্রপাতে তিনজন নিহত এবং একজন আহত হয়েছেন।

• গোকর্ণ ভাঙ্গা ব্রিজ এলাকায় গরু চরাতে গিয়ে শামসুল হুদা (৬৫) ঘটনাস্থলেই মারা যান।
• টেকানগরে ধান কাটতে গিয়ে মারা যান শ্রমিক আব্দুর রাজ্জাক (৪০)। তিনি সরাইল উপজেলার কালিকচ্ছ গ্রামের বাসিন্দা।
• ভলাকুটের দুর্গাপুর গ্রামে খেলার সময় মারা যায় জাকিয়া বেগম (৮)। সে তার নানা বাড়িতে বেড়াতে এসেছিল।
• একই ঘটনায় আহত হয়েছেন হামিদা বেগম (৪৫), যাকে জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

আখাউড়া উপজেলার ধরখার ইউনিয়নের রুটি নুরপুর এলাকায় মাঠে কাজ করার সময় বজ্রপাতে মারা যান সেলিম মিয়া (৬৪)। একই ইউনিয়নের বনগজ গ্রামে বজ্রাঘাতে প্রাণ হারান জমির খান (২২)। এ সময় দু’টি গবাদি পশুও মারা গেছে বলে জানা গেছে।

কিশোরগঞ্জ:
ভৈরব ও কুলিয়ারচরে বজ্রপাতে প্রাণ গেছে তিনজনের।

• ভৈরবের রসুলপুর গ্রামে নিহত হন ফারুক মিয়া (৬০),
• শ্রীনগর গ্রামে মারা যান ফয়সাল মিয়া (২৮),
• কুলিয়ারচরের ছয়সূতি গ্রামে বজ্রাঘাতে প্রাণ হারান কবির মিয়া (৩৫)।
  তাঁরা সকলেই মাঠে কৃষিকাজ করার সময় বজ্রপাতে আহত হন এবং পরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মারা যান।

হবিগঞ্জ:
আজমিরীগঞ্জ উপজেলার ডেমিকান্দি গ্রামে বজ্রপাতে মারা যান সাজু মিয়া (২০)। বাড়ির পাশে জমিতে পানি দেওয়ার ড্রেনে গোসল করার সময় বজ্রাঘাতের শিকার হন তিনি। সাজু মিয়া ছিলেন কাকাইলছেও ইউনিয়নের বাসিন্দা, পিতা তজম আলী মিয়া।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্যমতে, চলমান তাপপ্রবাহ ও মেঘমালার সংঘাতে আগামী কিছুদিন দেশের বিভিন্ন স্থানে বজ্রঝড় ও বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকতে পারে। জনসাধারণকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।