[email protected] শনিবার, ৩১ মে ২০২৫
১৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

মহান মে দিবস আজ

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১ মে ২০২৫ ১:২২ এএম

সংগৃহীত ছবি

আজ ১ মে, বিশ্বব্যাপী পালিত হচ্ছে শ্রমজীবী মানুষের অধিকার আদায়ের প্রতীক ‘মহান মে দিবস’।

শ্রমিক শ্রেণির আত্মত্যাগ ও ন্যায্য দাবির স্মরণে এ দিনটি প্রতি বছর আন্তর্জাতিকভাবে পালিত হয়ে আসছে। ১৮৮৬ সালের এই দিনে যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগো শহরের হে মার্কেটের শ্রমিকরা দৈনিক আট ঘণ্টা কাজের দাবিতে আন্দোলনে নামেন।

পুলিশের গুলিতে অনেক শ্রমিক হতাহত হলেও, তাঁদের আত্মত্যাগের মাধ্যমেই প্রতিষ্ঠিত হয় দৈনিক কাজের নির্ধারিত সময়।

এ দিবসটির তাৎপর্য তুলে ধরতে বাংলাদেশসহ প্রায় ৮০টি দেশে আজ সরকারি ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। আরও অনেক দেশে বেসরকারিভাবে দিবসটি পালিত হচ্ছে।

এবছর বাংলাদেশে মে দিবসের প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে— “শ্রমিক-মালিক এক হয়ে, গড়বো এ দেশ নতুন করে”। দিবসটি উপলক্ষে বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও শ্রমজীবী সংগঠন নানাবিধ কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। গণমাধ্যমগুলোও দিবসটির গুরুত্ব তুলে ধরে নিবন্ধ ও অনুষ্ঠান প্রচার করছে।

মে দিবসের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি বিশ্বব্যাপী শ্রমিকদের জীবনমান উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখেছে। এর প্রভাবে শ্রমঘণ্টা হ্রাস, ন্যায্য মজুরি এবং কর্মপরিবেশ উন্নয়নের লক্ষ্যে নানা পদক্ষেপ গৃহীত হয়েছে।

শ্রেণিভিত্তিক বৈষম্য কমানোর পথও প্রশস্ত হয়েছে। যদিও এখনও অনেক জায়গায় শ্রমিকের অধিকার পুরোপুরি নিশ্চিত হয়নি, তবুও মে দিবস শ্রমিক মুক্তি আন্দোলনের এক গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক।

শ্রমিক কল্যাণ ও অধিকার রক্ষায় বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারও বেশ কিছু উদ্যোগ নিয়েছে। গত ১৭ নভেম্বর শ্রম সংস্কার কমিশন গঠন করা হয়, যার প্রধান করা হয় বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব লেবার স্টাডিজের (বিআইএলএস) নির্বাহী পরিচালক সৈয়দ সুলতান উদ্দিন আহমেদকে।

এই কমিশন অংশীজন ও সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের মতামত নিয়ে সম্প্রতি প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে প্রতিবেদন জমা দিয়েছে।

এছাড়া শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের শ্রম শাখা থেকে জারি করা এক স্মারকে বলা হয়, যুক্তিসংগত কারণ ও শ্রম আইন অনুসরণ ব্যতীত কোনো শ্রমিককে চাকরিচ্যুত বা ছাঁটাই করা যাবে না।

এ ক্ষেত্রে প্রশাসনের অনুমতি ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের ছাড়পত্র গ্রহণ বাধ্যতামূলক। শ্রম আইন লঙ্ঘন করলে সংশ্লিষ্ট মালিকের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও বলা হয়েছে।

স্মারকে আরও উল্লেখ করা হয়, মহান মে দিবসে সব কারখানা ও প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখতে হবে। কোনো প্রতিষ্ঠান খোলা রাখলে, আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

শ্রম শাখার উপ-সচিব মোহাম্মদ শামছুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এ নির্দেশনা মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটেও প্রকাশ করা হয়েছে। 

এসআর

মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর