আওয়ামী লীগের রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবিতে রাজধানীর উত্তরায় নতুন একটি আন্দোলন প্ল্যাটফর্ম গঠনের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
এই প্ল্যাটফর্মটি গড়ে তোলা হচ্ছে গত জুলাই আন্দোলনে অংশ নেওয়া বিভিন্ন সংগঠনের সমন্বয়ে।
শনিবার (১৯ এপ্রিল) দুপুরে উত্তরা পূর্ব থানার সামনে প্রতীকী লাঠি মিছিল ও অবরোধ-অবস্থান কর্মসূচির পর আন্দোলনকারীরা এই ঘোষণা দেন।
আন্দোলন সংশ্লিষ্টরা জানান, নতুন প্ল্যাটফর্মের মূল উদ্দেশ্য আওয়ামী লীগের রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবিতে একটি সুসংগঠিত ও শক্তিশালী আন্দোলন গড়ে তোলা।
তাদের দাবি, গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র ও সাধারণ মানুষের আন্দোলনের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ অবস্থান নিয়েছিল। বর্তমানে দলটি আবার রাজনীতিতে সক্রিয় হওয়ার চেষ্টা করছে, যা তারা দেশের জন্য হুমকি বলে মনে করছেন।
এক শিক্ষার্থী ও আন্দোলনকারী, রাফিদ মুহাম্মদ ভূঁইয়া বলেন, “আমরা সকাল ১১টা থেকে থানার সামনে অবস্থান নিই।
আশা করেছিলাম স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা এখানে এসে আমাদের সঙ্গে আলোচনায় অংশ নেবেন। কিন্তু তিনি না জানিয়েই স্থান ত্যাগ করেন। যদি সরকার ছাত্র-জনতার ভয় পায়, তাহলে আওয়ামী লীগের মতো সংগঠনকে কীভাবে মোকাবিলা করবে?”
তিনি আরও বলেন, “আমরা দেখতে পাচ্ছি প্রশাসনের ভেতরে আবারও আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনের চেষ্টার ইঙ্গিত। ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটররাও অভিযোগ করেছেন, প্রশাসনের সহযোগিতা তারা পাচ্ছেন না। এ অবস্থায় আবারও রাজপথে নামার বিকল্প নেই।”
আন্দোলনকারীরা জানান, তারা স্বরাষ্ট্র ও আইন মন্ত্রণালয়ে স্মারকলিপি জমা দেবেন যাতে আওয়ামী লীগ ও তাদের সহযোগী সংগঠনগুলো নিষিদ্ধ করার দাবিসহ বিচারবহির্ভূত কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া হয়।
এর আগে, ‘ছাত্র-জনতা’র ব্যানারে বেলা ১১টা ৩০ মিনিটে আয়োজিত প্রতীকী লাঠি মিছিলে অংশ নেওয়া হয়।
মিছিলে ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’-এর ব্যর্থতা এবং আওয়ামী লীগের মিছিল চলাকালে পুলিশের নিষ্ক্রিয়তার প্রতিবাদ জানানো হয়।
এসআর
মন্তব্য করুন: