বাংলাদেশের ১৩৩টি প্রতিষ্ঠানকে সুগন্ধি চাল রপ্তানির অনুমতি দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
এ বিষয়ে একটি চিঠি মঙ্গলবার প্রধান আমদানি ও রপ্তানি নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে।
প্রতিষ্ঠানগুলোর উৎপাদন ও রপ্তানি সক্ষমতা অনুযায়ী প্রতিটি প্রতিষ্ঠানকে ১০০ থেকে ৫০০ টন পর্যন্ত চাল রপ্তানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। সব মিলিয়ে অনুমোদিত রপ্তানির সর্বোচ্চ পরিমাণ দাঁড়াচ্ছে ১৮ হাজার ১৫০ টন। এই অনুমতির মেয়াদ থাকবে ২০২৫ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। তবে সরকার প্রয়োজনে যেকোনো সময় অনুমতি বাতিলের অধিকার সংরক্ষণ করে।
রপ্তানির শর্তাবলি
বাণিজ্যসচিব মাহবুবুর রহমান জানিয়েছেন, “সুগন্ধি চাল রপ্তানির মাধ্যমে দেশে বৈদেশিক মুদ্রার প্রবাহ বাড়বে। তবে অনুমোদিত প্রতিষ্ঠানগুলোকে নির্ধারিত শর্ত কঠোরভাবে মেনে চলতে হবে।”
চিঠিতে উল্লেখযোগ্য শর্তগুলোর মধ্যে রয়েছে:
বর্তমান রপ্তানিনীতি অনুযায়ী, সাধারণভাবে বাংলাদেশ থেকে চাল রপ্তানি নিষিদ্ধ। তবে সরকার নির্দিষ্ট অনুমতির মাধ্যমে সুগন্ধি চাল রপ্তানির সুযোগ দিয়ে থাকে।
পেছনের পরিসংখ্যান ও রপ্তানির ইতিহাস
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) তথ্য অনুযায়ী, ২০১৯-২০ অর্থবছরে বাংলাদেশ সুগন্ধি চাল রপ্তানি করে আয় করেছিল ২৮ লাখ ৮০ হাজার ডলার। এরপর ধারাবাহিকভাবে এই আয় হ্রাস পায় এবং ২০২১-২২ অর্থবছরে তা দাঁড়ায় মাত্র ১০ লাখ ৭০ হাজার ডলারে। এরপর ২০২২-২৩ অর্থবছরে রপ্তানি অনুমতি স্থগিত করা হয়। ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জানুয়ারি থেকে আবার চাল রপ্তানির অনুমোদন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার।
২০০৯-১০ অর্থবছর থেকে শুরু হয় বাংলাদেশের সুগন্ধি চাল রপ্তানি, প্রথম বছর রপ্তানির পরিমাণ ছিল মাত্র ৬৬৩ টন। ২০১৯-২০ সালে তা বেড়ে হয় ১০ হাজার ৮৭৯ টন।
রপ্তানিযোগ্য চালের তালিকা
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত সুগন্ধি চালের মধ্যে রয়েছে— কালিজিরা, চিনিগুঁড়া, বাদশাভোগ, কাটারিভোগ, মদনভোগ, রাঁধুনিপাগল, বাঁশফুল, তুলসীমালা, খোরমা, নুনিয়া, পশুশাইল, দুলাভোগসহ মোট ২০টিরও বেশি জাতের চাল।
এই চাল বিশ্বের ১৩০টির বেশি দেশে রপ্তানি হয়ে থাকে, যার মধ্যে যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপের বিভিন্ন দেশ, সংযুক্ত আরব আমিরাত, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর ও দক্ষিণ কোরিয়া অন্যতম।
এসআর
মন্তব্য করুন: