সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হওয়া সেই ‘চলমান-খাট’ নিয়ে গেছে পুলিশ। স্থানীয় সূত্রের বরাতে বুধবার (৯ এপ্রিল) বিবিসি বাংলা এ তথ্য জানায়।
সাম্প্রতিক সময়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হওয়া সেই বিশেষ ‘চলমান-খাট’ নিয়ে স্থানীয় প্রশাসন অবিলম্বে পদক্ষেপ নিয়েছে।
ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদের বাসিন্দা নবাব শেখ, যারা প্রায় দেড় বছর পরিশ্রম ও বিনিয়োগ (প্রায় দুই লাখ ১৫ হাজার টাকা খরচ করে) করে নিজ হাতে এই অনন্য খাট-গাড়িটি তৈরি করেছিলেন, ঈদের ছুটির দিনে নিজের বিচিত্র এই পরিবহণ যন্ত্রটি নিয়ে ট্রায়ালে বেরিয়ে যান।
ভিডিওতে দেখা যায়, নবাবের তৈরি করা ঘরের খাটের উপর একটি গাড়ি সাজানো হয়েছে। তোষক, চাদর, বালিশসহ খাটটি যেন চলমান অবস্থায় থাকে, যা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আপলোডের পর মুহূর্তেই ভাইরাল হয়ে ওঠে।
অপরদিকে, একটি স্থানীয় সংবাদমাধ্যম এই ভাইরাল ভিডিওটি ডাউনলোড করে তথ্য বিকৃত আকারে সংবাদ প্রকাশের ফলে নবাব শেখের ফেসবুক পেজ কপিরাইটের মারপ্যাঁচে পড়ে। কপিরাইট বিরোধিতার কারণে এক পর্যায়ে পেজটি বন্ধ করে দেওয়া হয়।
থানায় অভিযোগ প্রদান করলে পুলিশ জানান, “মোটর ভেহিকলস আইন অনুযায়ী, কোনো যানবাহনকে এই ধরণের পরিবর্তিত করে চালানোর অনুমতি আইনত প্রাপ্ত নয়।” এই অভিযোগে ভয় পেয়ে নবাব তার তৈরি করা ‘চলমান-খাট’ পরিবারের গুদামে রেখে দেন। তবে, মুর্শিদাবাদের ডোমকল থানার পুলিশ অনুষ্ঠানটি নিশ্চিত করতে গিয়ে গাড়িটি নিয়ে আসে।
নবাব শেখ জানান, “আমার মন খুব খারাপ, কারণ ফেসবুক আইডি বন্ধ থাকায় ভাইরাল ভিডিও থেকে আয়ের সুযোগ চলে যাচ্ছে। অন্যদিকে, এই শখের গাড়িটি এখন হাতছাড়া অবস্থায় পড়ে আছে।”
নবাবের এই চলমান-খাটটি তিনি মারুতি ‘ওমনি’ গাড়ির চেসিসের উপর কাঠের একটি কাঠামো স্থাপন করে তৈরি করেছিলেন। এতে ৮০০ সিসি ইঞ্জিন লাগানো হয়। বাড়ির পাশেই কর্মরত কাঠমিস্ত্রি ও মেকানিকদের সহায়তায় তিনি এই প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করেন।
এসআর
মন্তব্য করুন: