[email protected] শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৫
৫ বৈশাখ ১৪৩২

আতিউর-বারাকাতসহ ২৩ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ৬ মার্চ ২০২৫ ৪:৪৩ পিএম

ফাইল  ছবি

বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. আতিউর রহমানসহ ২৩ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন আদালত।

২৯৭ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মো. জাকির হোসেন গালিব এই আদেশ দেন।

নিষেধাজ্ঞাপ্রাপ্তদের মধ্যে রয়েছেন অর্থনীতিবিদ ড. আবুল বারাকাত, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর-২ আবু হেনা মোহাম্মদ রাজী হাসান, সাবেক সহকারী পরিচালক ইসমত আরা বেগম, সাবেক পরিচালক ড. জামাল উদ্দিন আহমেদ, মো. ইমদাদুল হক, নাগিবুল ইসলাম দীপু, ড. আর এম দেবনাথ, মো. আবু নাসের, সঙ্গীতা আহমেদ ও অধ্যাপক নিতাই চন্দ্র নাথ।

এছাড়া, জনতা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (সাবেক) আব্দুছ ছালাম আজাদ, সাবেক উপমহাব্যবস্থাপক আজমুল হক, সাবেক এজিএম অজয় কুমার ঘোষ, জনতা ভবন করপোরেট শাখার সাবেক ম্যানেজার মো. গোলাম আজম, ব্যাংকের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. শাহজাহান, এসইও মো. এমদাদুল হক, সাবেক উপমহাব্যবস্থাপক মো. আব্দুল জব্বার, সাবেক ডিএমডি মো. গোলাম ফারুক, সাবেক উপব্যবস্থাপনা পরিচালক ওমর ফারুকসহ আরও অনেকে রয়েছেন।

এছাড়া, এননটেক্স গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. ইউনুছ বাদল, মেসার্স সুপ্রভ স্পিনিং লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আনোয়ার হোসেন এবং পরিচালক মো. আবু তালহার নামও নিষেধাজ্ঞাপ্রাপ্তদের তালিকায় রয়েছে।

দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আক্তারুল ইসলাম জানান, দুদকের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ শাহজাহান মিরাজের আবেদনের ভিত্তিতে আদালত এই আদেশ দেন।

আবেদনে বলা হয়েছে, মামলাটি বর্তমানে তদন্তাধীন। গোপন সূত্রে জানা গেছে, অভিযুক্ত ব্যক্তিরা দেশত্যাগের চেষ্টা করছেন, যা তদন্ত কার্যক্রম ব্যাহত করতে পারে। তাই, সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে ২৩ জন আসামির বিদেশ গমন বন্ধ রাখা প্রয়োজন।

গত ২০ ফেব্রুয়ারি দুদকের উপপরিচালক মো. নাজমুল হুসাইন বাদী হয়ে এই মামলাটি দায়ের করেন।

মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, অভিযুক্ত ব্যক্তিরা পরস্পরের যোগসাজশে মিথ্যা নথিপত্র তৈরি করে জনতা ব্যাংকের করপোরেট শাখা থেকে ২৯৭ কোটি ৩৮ লাখ ৮৭ হাজার ২৯৬ টাকা আত্মসাৎ করেছেন। তারা জালিয়াতির মাধ্যমে ব্যাংকে বন্ধক দেওয়া সম্পত্তিতে কোনো স্থাপনা না থাকলেও কৃত্রিম মূল্যায়নের মাধ্যমে অতিরিক্ত মূল্য দেখিয়ে ঋণ অনুমোদন ও বিতরণ করেছেন।

এই ঘটনার তদন্ত অব্যাহত রয়েছে বলে দুদক সূত্রে জানা গেছে

এসআর

মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর