বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ, যিনি নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের নির্যাতনে নিহত হয়েছিলেন, এবার মরণোত্তর স্বাধীনতা পদক পাচ্ছেন।
সোমবার (৩ মার্চ) স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাসে এ তথ্য জানান।
তবে আবরার ফাহাদকে স্বাধীনতা পদক দেওয়ার বিষয়ে বিভিন্ন মহলে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। পক্ষ-বিপক্ষে মত প্রকাশ করছেন অনেকেই।
এ প্রসঙ্গে সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকীও নিজের মতামত দিয়েছেন। সোমবার সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে তিনি ফেসবুকে একটি পোস্ট দেন, যেখানে তিনি আবরার ফাহাদের অবদানকে ‘মুক্তিযুদ্ধ’ ক্যাটাগরিতে মূল্যায়নের প্রস্তাব দেন।
ফারুকী তার পোস্টে লেখেন, “আবরার ফাহাদের নাম সামনে আসায় অনেকে উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করছেন, আবার কেউ কেউ প্রশ্ন তুলছেন, ‘কোন বিবেচনায় তাকে স্বাধীনতা পদক দেওয়া হচ্ছে?’ আমি ব্যাখ্যা না করে শুধু বলতে চাই, তার ক্যাটাগরি হওয়া উচিত ‘মুক্তিযুদ্ধ’।
কারণ, মুক্তিযুদ্ধের মূল লক্ষ্য ছিল স্বাধীনতা, যার প্রধান শর্ত সার্বভৌমত্ব। আবরার ফাহাদ ছিলেন সেই সার্বভৌমত্বের প্রতীক।”
তিনি আরও বলেন, “আবরার ফাহাদ একটি চেতনার নাম, একটি প্রতিরোধের প্রতীক। তার শক্তি বোঝার জন্য আপনাকে তরুণদের মনোভাব বুঝতে হবে। আজকের তরুণ প্রজন্ম তাকে কীভাবে দেখে, সেটিই তার অবস্থান নির্ধারণ করবে।”
ফারুকীর এমন মন্তব্যের পর বিষয়টি নিয়ে নতুন করে আলোচনা শুরু হয়েছে বিভিন্ন মহলে।
এসআর
মন্তব্য করুন: