সাংবাদিক দম্পতি সাগর সারোয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার সময় ১১৬তম বারের মতো পেছাল।
২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি, রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারের ভাড়া বাসায় নৃশংসভাবে খুন হন মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক সাগর সারোয়ার ও এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক মেহেরুন রুনি। এই হত্যাকাণ্ডের পর দীর্ঘ ১১ বছর পেরিয়ে গেলেও এখনো বিচার প্রক্রিয়া এগোয়নি, বরং তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার সময় বারবার পেছানো হচ্ছে।
গত বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর, হাইকোর্ট এক আদেশে সাংবাদিক দম্পতি হত্যার তদন্তের দায়িত্ব র্যাব থেকে সরিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে একটি উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন টাস্কফোর্সের মাধ্যমে তদন্তের নির্দেশ দেন। একইসঙ্গে ৬ মাসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়।
তখন শুনানিতে হাইকোর্ট মন্তব্য করেছিলেন—
"আশা করি, এবার ন্যায়বিচার নিশ্চিত হবে এবং তদন্তের জন্য দেওয়া এই ৬ মাস মানে সত্যিই ৬ মাস হবে।"
কিন্তু সেই সময়সীমা শেষ হওয়ার আগেই আবারও তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ পেছানো হলো, যা মামলাটির দীর্ঘসূত্রিতার আরেকটি উদাহরণ।
এক যুগ পার হয়ে গেলেও সাগর-রুনি হত্যার রহস্য উন্মোচন ও বিচার নিশ্চিত হয়নি। বারবার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার তারিখ পেছানোয় সাংবাদিক মহল, পরিবার ও সাধারণ মানুষের মধ্যে ক্ষোভ বাড়ছে। আগামী ৬ এপ্রিল নির্ধারিত নতুন তারিখেও তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে কি না, তা নিয়ে সংশয় থেকেই যাচ্ছে।
এসআর
মন্তব্য করুন: