[email protected] শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৫
৫ বৈশাখ ১৪৩২

সাবেক গভর্নর আতিউর ও অর্থনীতিবিদ বারাকাতসহ ২৩ জনের বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ৪:০০ পিএম

ফাইল  ছবি

এননটেক্স গ্রুপের নামে ২৮৭ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. আতিউর রহমান ও জনতা ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান অর্থনীতিবিদ ড. আবুল বারাকাতসহ ২৩ জনের বিরুদ্ধে

বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে সংস্থাটির উপ-পরিচালক মো. নাজমুল হুসাইন বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুদকের মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন।

আসামিদের তালিকা

মামলার আসামিদের মধ্যে রয়েছেন-

১. বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. আতিউর রহমান।
২. সাবেক ডেপুটি গভর্নর-২ আবু হেনা মোহাম্মদ রাজী হাসান।
৩. বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক সহকারী পরিচালক মোছাম্মৎ ইসমত আরা বেগম।
৪. জনতা ব্যাংক পিএলসির সাবেক চেয়ারম্যান ড. আবুল বারাকাত।
৫. জনতা ব্যাংকের সাবেক পরিচালক ড. জামাল উদ্দিন আহমেদ, মো. ইমদাদুল হক, নাগিবুল ইসলাম দীপু, ড. আর এম দেবনাথ, মো. আবু নাসের, মিসেস সঙ্গীতা আহমেদ ও অধ্যাপক ড. নিতাই চন্দ্র নাথ।
৬. জনতা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও আব্দুছ ছালাম আজাদ।
৭. জনতা ব্যাংকের সাবেক উপ-মহাব্যবস্থাপক আজমুল হক, সাবেক এজিএম অজয় কুমার ঘোষ।
৮. জনতা ভবন কর্পোরেট শাখার সাবেক ম্যানেজার (শিল্প ঋণ-১) মো. গোলাম আজম।
৯. ব্যাংকের নির্বাহী প্রকৌশলী (এসএমই ডিপার্টমেন্ট) মো. শাহজাহান, এসইও মো. এমদাদুল হক।
১০. জনতা ব্যাংকের সাবেক উপ-মহাব্যবস্থাপক মো. আব্দুল জব্বার।
১১. সাবেক ডিএমডি মো. গোলাম ফারুক ও সাবেক উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক ওমর ফারুক।
১২. এননটেক্স গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. ইউনুছ বাদল।
১৩. মেসার্স সুপ্রভ স্পিনিং লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আনোয়ার হোসেন ও পরিচালক মো. আবু তালহা।

অভিযোগের বিবরণ

এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে প্রতারণা, জালিয়াতির মাধ্যমে মিথ্যা রেকর্ড তৈরি করে জনতা ব্যাংক পিএলসির ভবন শাখা থেকে ২৯৭ কোটি ৩৮ লাখ ৮৭ হাজার ২৯৬ টাকা আত্মসাৎ করেছেন। ব্যাংক কর্মকর্তাদের সহায়তায় মানিলন্ডারিং এবং ঋণের অর্থ জালিয়াতির মাধ্যমে আত্মসাৎ করা হয়েছে বলে অভিযোগ আনা হয়েছে।

আইনি ব্যবস্থা

আসামিদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৪০৯/৪২০/৪৬৭/৪৬৮/৪৭১/১০৯ তৎসহ দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭-এর ৫(২) ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, ২০২২ সালে ঋণ অনিয়মের বিষয়ে দুদক তদন্ত করে অভিযোগের প্রমাণ না পাওয়ায় মামলা পরিসমাপ্তির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। তবে নতুন করে অনুসন্ধানের পর দায়ের করা এই মামলাটি গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।

এসআর

মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর