সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে গুজব ছড়িয়ে পড়ে যে মানবাধিকার সংগঠন আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) চেয়ারপারসন এবং সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী জেড আই খান পান্না মারা গেছেন।
তবে সেই গুজব উড়িয়ে দিয়ে তিনি মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারিসামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে গুজব ছড়িয়ে পড়ে যে মানবাধিকার সংগঠন আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) চেয়ারপারসন এবং সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী জেড আই খান পান্না মারা গেছেন। সকালে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজির হন এবং সাবেক নৌপরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান ও আওয়ামী লীগ নেতা আমির হোসেন আমুর পক্ষে আইনি লড়াই করেন।
মঙ্গলবার সকাল ১১টার দিকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে প্রবেশ করেন জেড আই খান পান্না। এসময় তিনি এজলাস কক্ষে প্রবেশ করেন এবং প্রসিকিউশনের সদস্য মো. মিজানুর রহমানের সঙ্গে কথা বলেন।
পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় তিনি সুস্থতার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, “আমি সুস্থ আছি।”
মঙ্গলবার সকাল থেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জেড আই খান পান্নার ছবি পোস্ট দিয়ে অনেকে তাঁর মৃত্যুর ভুয়া খবর ছড়ান। অনেক পোস্টে লেখা হয়, ‘শোক সংবাদ, আইনজীবী জেড আই খান পান্না আমাদের মাঝে আর নেই।’
তবে এই তথ্য ভিত্তিহীন বলে নিশ্চিত করেছে ফ্যাক্টচেকিং প্রতিষ্ঠান রিউমর স্ক্যানার। তাদের প্রকাশিত প্রতিবেদনে জানানো হয়, “আইনজীবী জেড আই খান পান্নার মৃত্যুর খবর সত্য নয়। তিনি সুস্থ আছেন এবং মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টেও উপস্থিত ছিলেন।”
প্রাথমিক অনুসন্ধানে গণমাধ্যম বা সুপ্রিম কোর্টের কোনো সূত্রে তাঁর মৃত্যুর তথ্য পাওয়া যায়নি। এ বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের অ্যাডভোকেট মুহাম্মাদ রহমাতুল্লাহ জানান, “এটি পুরোপুরি গুজব।”
এর আগে, গত ২১ নভেম্বর সুপ্রিম কোর্টে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে জেড আই খান পান্না জানান, সুযোগ পেলে তিনি শেখ হাসিনার পক্ষে ট্রাইব্যুনালে আইনি লড়াই করতে চান।
তিনি বলেন, “আমি সবসময় নিপীড়িতদের পক্ষে দাঁড়াই, সে যেই হোক না কেন। যদি সুযোগ হয়, আমি শেখ হাসিনার পক্ষেও লড়াই করবো, তা ট্রাইব্যুনাল হোক বা অন্য যেকোনো আদালত।”
তিনি আরও বলেন, “বর্তমানে গণহারে মামলা বেড়েছে, যা অতীতের যেকোনো সময়ের তুলনায় অনেক বেশি।”
আইনজীবী জেড আই খান পান্নার মৃত্যুসংবাদ একটি ভিত্তিহীন গুজব বলে প্রমাণিত হয়েছে। এই ঘটনা সঠিক তথ্য যাচাইয়ের গুরুত্বের ওপর আলোকপাত করে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, ভুয়া তথ্য ছড়ানোর আগে তার সত্যতা যাচাই করা জরুরি, বিশেষ করে যখন এটি একজন বিশিষ্ট ব্যক্তির জীবন সম্পর্কে হয়।
এসআর
মন্তব্য করুন: