[email protected] শুক্রবার, ১১ এপ্রিল ২০২৫
২৮ চৈত্র ১৪৩১

৩৫০০ কোটি টাকার নকশিপল্লী প্রকল্প হচ্ছে মাত্র ২০০ কোটিতে

প্রতিদিনের বাংলা ডেস্ক

প্রকাশিত: ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১২:৫০ পিএম
আপডেট: ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১২:৫১ পিএম

সাবেক বস্ত্র ও পাট প্রতিমন্ত্রী এবং জামালপুর-৩ (মেলান্দহ-মাদারগঞ্জ) আসনের এমপি মির্জা আজম চীন সফরকালে বিশাল নকশিপল্লী পরিদর্শন করেন।

সেখান থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে দেশের বাস্তবতা ও চাহিদা বিবেচনা না করেই তিনি নকশিপল্লী প্রকল্প গ্রহণ করেন।

তবে বিশাল ফসলি জমি ক্ষতিগ্রস্ত হলেও তিনি সে বিষয়ে গুরুত্ব দেননি।

এই প্রকল্পের সম্ভাব্যতা নিয়ে পরিকল্পনামন্ত্রীসহ অনেকেই প্রশ্ন তুলেছিলেন। কিন্তু "শেখ হাসিনা নকশিপল্লী" নাম যুক্ত করায় সমালোচনার পথ অনেকটাই রুদ্ধ হয়ে যায়।

বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, প্রকল্পের প্রথম ধাপে ৭২২ কোটি টাকা অনুমোদন করা হলেও পাঁচ বছরেও কাজ শুরু হয়নি।

পরিকল্পনা অনুযায়ী, প্রকল্প বাস্তবায়নে ব্যয় ধরা হয়েছিল সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা। তবে মন্ত্রণালয়ের একাংশ এত বড় প্রকল্প নিয়ে আগ্রহী ছিল না।

অনেকের মতে, সাবেক বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজীর সঙ্গে মির্জা আজমের মতবিরোধের কারণেই কাজটি থমকে যায়।

এদিকে, ৩০০ একর ফসলি জমি নষ্ট করে এত বড় প্রকল্প বাস্তবায়নের যৌক্তিকতা নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে।

তাঁত বোর্ডের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, "এত বড় প্রকল্প গ্রহণের বিষয়ে আমরা শুরু থেকেই দ্বিধান্বিত ছিলাম।

প্রকল্প বাস্তবায়নে সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা ব্যয়ের পরিকল্পনা নেওয়া হয়। অনেকের মতে, সাবেক বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজীর সঙ্গে আগের প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজমের সম্পর্কের টানাপড়েনে কাজটি এগোয়নি।

আবার ৩০০ একর ফসলি জমি নষ্ট করে এত বড় নকশিপল্লী করার ব্যাপারে মন্ত্রণালয়ের অনেকে আগ্রহী ছিলেন না।
তাঁত বোর্ডের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘এত বড় প্রকল্প নেওয়ার ব্যাপারে তখন আমরা অনেকেই রাজি ছিলাম না।

শুধু নিজের স্বার্থ হাসিলে মির্জা আজম একক সিদ্ধান্তে এত বড় প্রকল্প নেন।
এ বিষয়ে গবেষণাপ্রতিষ্ঠান সিপিডির সম্মাননীয় ফেলো ড. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, বিগত সরকারের আমলে এমন অনেক প্রকল্পই নেওয়া হয়েছে বাছবিচার ছাড়া, যেগুলো থেকে এখন কোনো অর্থনৈতিক আউটপুট আসছে না। অনেক এমন প্রকল্পও নেওয়া হয়েছে যার যৌক্তিকতা নেই। এখন সরকার অনেক প্রকল্প থেকেই অপ্রয়োজনীয় অঙ্গ বাদ দিচ্ছে। অনেক প্রকল্পে ঋণ নিয়ে বিপাকে রয়েছে খোদ সরকারও।

সূত্র কালের কন্ঠ 

এসআর

মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর