চার দফা দাবিতে আন্দোলনরত মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট ট্রেনিং স্কুল (ম্যাটস) শিক্ষার্থীরা নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন।
রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্য এলাকায় এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন সাধারণ ম্যাটস শিক্ষার্থী ঐক্য পরিষদের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক মুজাহিদুল ইসলাম।
সংবাদ সম্মেলনে মুজাহিদুল ইসলাম বলেন, “স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় আমাদের কিছু আশ্বাস দিলেও চার দফা দাবির মধ্যে শুধু নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের বিষয়ে তিনদিন সময় নিয়েছে। তবে বাকি তিনটি দাবির বিষয়ে কোনো স্পষ্ট সিদ্ধান্ত দেয়নি। তাই আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।”
তিনি আরও বলেন, “আমরা রাতেও শহীদ মিনারে অবস্থান করব এবং সোমবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত অপেক্ষা করব। যদি এই সময়ের মধ্যে দাবি পূরণ না হয়, তাহলে আমরণ অনশনে যাব।”
মুজাহিদুল ইসলাম অভিযোগ করেন, “আমাদের একটি প্রতিনিধি দল যখন স্বাস্থ্য উপদেষ্টার সঙ্গে আলোচনায় ছিল, তখন প্রেস ক্লাবের উদ্দেশ্যে শাহবাগ থেকে শিক্ষার্থীরা যাত্রা শুরু করলে পুলিশ অতর্কিত হামলা চালায়। এতে ৬০ জন গুরুতর আহত হন এবং মোট ১২০ জনের বেশি শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন।”
তিনি আরও বলেন, “আমরা এই হামলার তীব্র নিন্দা জানাই এবং হামলায় জড়িত পুলিশ সদস্যদের চিহ্নিত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাচ্ছি।”
এর আগে, রোববার সকাল ১১টার দিকে শাহবাগ মোড় অবরোধ করেন ম্যাটস শিক্ষার্থীরা। এক ঘণ্টার আল্টিমেটাম দেওয়ার পর বিকেল ৪টা ১৫ মিনিটে তারা লং মার্চ শুরু করলে পুলিশের সঙ্গে ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটে। পরে ব্যারিকেড ভেঙে শিক্ষার্থীরা লং মার্চ চালিয়ে যান।
১. বৈষম্যহীন উচ্চশিক্ষার সুযোগ: বাংলাদেশ সরকারের ১৯৭৩-৭৮ পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা অনুযায়ী ম্যাটস শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষার সুযোগ দিতে হবে। ২. নিয়োগ ও নতুন পদ সৃজন: উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার শূন্যপদে নিয়োগ প্রদান এবং কমিউনিটি ক্লিনিক, সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকে ম্যাটস ডিএমএফ ডিপ্লোমাধারীদের জন্য নতুন পদ সৃষ্টি করতে হবে। ৩. ইন্টার্নশিপ পুনর্বহাল ও কারিকুলাম সংশোধন: চার বছরের একাডেমিক কোর্স বহাল রেখে এক বছরের ভাতাসহ ইন্টার্নশিপ পুনরায় চালু করতে হবে এবং অসংগতিপূর্ণ কারিকুলাম সংশোধন করতে হবে। ৪. নতুন শিক্ষা বোর্ড গঠন: অ্যালাইড হেলথ প্রফেশনাল শিক্ষা বোর্ড বাতিল করে ‘মেডিকেল এডুকেশন বোর্ড অব বাংলাদেশ’ নামে নতুন বোর্ড গঠন করতে হবে।
ম্যাটস শিক্ষার্থীরা দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।
এসআর
মন্তব্য করুন: