ধানমন্ডি ৩২ নম্বর সড়কে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক বাড়ি ভাঙার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ ও নিন্দা জানিয়েছেন দেশের বিশিষ্ট ২৬ জন নাগরিক।
বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, ৫ ও ৬ ফেব্রুয়ারি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতিতেই ক্রেন ও বুলডোজার ব্যবহার করে ঐতিহাসিক এ স্থাপনা গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়।
একইসঙ্গে আশপাশের স্থাপনায় অগ্নিসংযোগের ঘটনাও ঘটে, যা জাতির ইতিহাস ও সংস্কৃতির প্রতি অবমাননার শামিল।
নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা প্রশ্ন তোলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কেন এ সময় নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করলো? জনগণের টাকায় পরিচালিত বাহিনী কীভাবে প্রকাশ্যে সংঘটিত এমন একটি অপরাধের সময় নিষ্ক্রিয় থাকতে পারে? তারা এ ঘটনাকে অপরাধীদের প্রতি এক ধরনের সহযোগিতা বলে অভিহিত করেন।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, “এই ধ্বংসযজ্ঞ কেবল একটি ভবন ভাঙার ঘটনা নয়, এটি ইতিহাসের ওপর সরাসরি আঘাত।
এর পেছনে কারা জড়িত, কারা পরিকল্পিতভাবে এই ঘটনা ঘটিয়েছে, তা খতিয়ে দেখে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে।”
বিশিষ্ট নাগরিকরা উল্লেখ করেন, বিশ্বের অন্যান্য দেশে ঐতিহাসিক নিদর্শন সংরক্ষণ করা হয়, অথচ বাংলাদেশে তা ধ্বংস করা হচ্ছে, যা অত্যন্ত উদ্বেগজনক।
তারা সরকারের কাছে ঘটনার পূর্ণাঙ্গ ব্যাখ্যা, স্বচ্ছ তদন্ত এবং দায়ীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান।
বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেছেন—সুলতানা কামাল, রাশেদা কে চৌধুরী, আনু মুহাম্মদ, খুশী কবির, পারভীন হাসান, ইফতেখারুজ্জামান, শামসুল হুদা, সারা হোসেন, সৈয়দ আবু নাসের বখতিয়ার আহমেদ, সুব্রত চৌধুরী, নুর খান, শাহনাজ হুদা, নোভা আহমেদ, জোবাইদা নাসরীন, মোহাম্মদ সেলিম হোসেন, শাহ-ই-মবিন জিন্নাহ, জাকির হোসেন, রেজাউল করিম চৌধুরী, মনীন্দ্র কুমার নাথ, সাঈদ আহমেদ, মিনহাজুল হক চৌহক চৌধুরী, আশরাফ আলী, শাহাদত আলম, রেজাউল হক, হানা শামস আহমেদ এবং মুক্তাশ্রী চাকমা।
এসআর
মন্তব্য করুন: