সুচিকিৎসা, পুনর্বাসন ও ক্ষতিপূরণের দাবিতে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার সামনে অবস্থান নিয়েছেন জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহতরা।
বিক্ষোভকারীরা প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনের সামনে পৌঁছালে দায়িত্বপ্রাপ্ত সেনা সদস্যরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেন। একপর্যায়ে সেখানে উপস্থিত হন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ। তিনি বিক্ষোভরত আহতদের শান্ত করার চেষ্টা করেন এবং আলোচনার আহ্বান জানান।
বিক্ষোভে অংশ নেওয়া হেলাল হাসান বলেন, "আমরা চাই প্রধান উপদেষ্টা বা তার প্রতিনিধি আমাদের লিখিতভাবে নিশ্চয়তা দিন যে আমাদের দাবি মেনে নেওয়া হয়েছে। আমরা কোনো মৌখিক আশ্বাসে সন্তুষ্ট নই।"
এর আগে আহতরা শাহবাগে ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেন। রোববার (২ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে শিশুমেলা মোড়ে অবরোধ কর্মসূচি পালন করে তারা সরকারের লিখিত আশ্বাস চান এবং বিকেল ৪টা পর্যন্ত সময়সীমা বেঁধে দেন।
পরে সন্ধ্যায় প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনের দিকে পদযাত্রা শুরু করলে পুলিশ ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলের সামনে বাধা দেয়। এতে বিক্ষোভকারীরা সেখানে বসে প্রতিবাদ জানান।
১. গণঅভ্যুত্থানে আহত ও শহীদদের ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা।
2. ফ্যাসিবাদী শক্তির অনুসারীদের রাষ্ট্রীয় পদ থেকে অপসারণ ও আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ।
3. আহতদের যথাযথ শ্রেণিবিন্যাস এবং পুনর্বাসন প্রক্রিয়া বাস্তবায়ন।
4. আহতদের সুচিকিৎসা ও সর্বোচ্চ স্বাস্থ্যসুবিধা নিশ্চিত করা।
5. আহত ও শহীদদের রাষ্ট্রীয় সম্মান এবং আইনগত সুরক্ষা প্রদান।
6. আহতদের আর্থিক অনুদান বৃদ্ধি এবং ভবিষ্যৎ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।
বিক্ষোভকারীরা স্পষ্ট করেছেন যে, লিখিত প্রতিশ্রুতি না পেলে তারা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন।
এসআর
মন্তব্য করুন: