রানিং স্টাফদের কর্মবিরতির কারণে সারা দেশে ৩০ ঘণ্টা ধরে ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকায় কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে এক দিনে প্রায় সোয়া কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে।
সোমবার মধ্যরাত থেকে শুরু হওয়া এ কর্মবিরতির কারণে মঙ্গলবার সারা দিন ৪২ জোড়া আন্তঃনগর এবং ২৫ জোড়া লোকাল, মেইল ও কমিউটার ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকে। এতে যাত্রীরা চরম ভোগান্তিতে পড়েন। আগাম টিকিট কেটে যারা ভ্রমণের পরিকল্পনা করেছিলেন, তাদের হতাশ হয়ে টিকিট ফেরত নিতে হয়।
রানিং স্টাফরা মূল বেতনের সঙ্গে রানিং অ্যালাউন্স যুক্ত করে পেনশন ও আনুতোষিক সুবিধা বহাল রাখার দাবি জানিয়ে কর্মবিরতিতে যান। তবে সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ের দফায় দফায় আলোচনার পর অবশেষে এই কর্মসূচি প্রত্যাহার করা হয়।
সমস্যার সমাধানে মঙ্গলবার গভীর রাতে রাজধানীর মিন্টো রোডে যোগাযোগ ও রেল উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খানের বাসায় জরুরি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে বাংলাদেশ রেলওয়ে রানিং স্টাফ ও শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মজিবুর রহমান কর্মবিরতি প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন।
তিনি জানান, সরকার বুধবারের মধ্যে তাদের দাবি বাস্তবায়নের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে এবং আগের সব সুবিধা বহাল থাকবে। কর্মীদের কাজে ফেরার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, "আমরা জনদুর্ভোগ চাই না। তাই কর্মসূচি প্রত্যাহার করছি।"
রেল উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান আশ্বাস দিয়েছেন, রানিং স্টাফদের সুবিধা আগের মতোই বহাল থাকবে এবং নতুন নিয়োগপ্রাপ্তদের বিষয়েও দ্রুত অর্থ মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে।
অবশেষে সমঝোতার মাধ্যমে মঙ্গলবার গভীর রাতেই ট্রেন চলাচল পুনরায় শুরু হয় এবং যাত্রীরা স্বস্তি ফিরে পান।
এসআর
মন্তব্য করুন: