[email protected] শুক্রবার, ১১ এপ্রিল ২০২৫
২৮ চৈত্র ১৪৩১

জুলাই ঘোষণাপত্র’ নিয়ে নিজস্ব প্রস্তাব চূড়ান্ত করছে বিএনপি

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২৯ জানুয়ারি ২০২৫ ১২:৪০ পিএম

ফাইল ছবি

জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্র’ নিয়ে নিজেদের অবস্থান শিগগিরই স্পষ্ট করতে যাচ্ছে বিএনপি।

এ লক্ষ্যে দলটির নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে আলোচনা শুরু হয়েছে।

বুধবার (২৯ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় দলটির সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম জাতীয় স্থায়ী কমিটির সভা আহ্বান করা হয়েছে। সেখানে আলোচনার ভিত্তিতে বিএনপির চূড়ান্ত অবস্থান নির্ধারণ করা হবে।

পাশাপাশি, আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে যুগপৎ আন্দোলনে থাকা দলগুলোর সঙ্গেও পর্যায়ক্রমে আলোচনা করা হবে।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদকে ঘোষণাপত্র প্রণয়নের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

দলটির সিনিয়র নেতাদের কয়েকজনের সমন্বয়ে প্রস্তাবনা চূড়ান্তের কাজ চলছে।

ছাত্রদের পক্ষ থেকে পাঠানো ঘোষণাপত্রের খসড়া নিয়েও বিএনপির নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে আলোচনা হয়েছে। দলটি মনে করছে, কিছু পরিমার্জন ও পরিবর্ধনের প্রয়োজন রয়েছে।

তবে বিএনপি এই উদ্যোগ পুরোপুরি প্রত্যাখ্যান করতে চায় না। বরং এটিকে পূর্ণাঙ্গ রূপ দিতে সতর্কতার সঙ্গে কাজ করছে।

বিএনপি মনে করে, ঘোষণাপত্রে সাংবিধানিক দিকগুলো গুরুত্বের সঙ্গে পর্যালোচনা করা দরকার।

ছাত্রদের খসড়ায় বাহাত্তরের সংবিধানের মূলনীতি বাতিলের যে প্রস্তাব এসেছে, সেটিকে যুক্তিসঙ্গত মনে করছে না দলটি।

বিএনপির মতে, মুক্তিযুদ্ধই বাংলাদেশের ভিত্তি, এবং স্বাধীনতার ইতিহাস বিকৃত না করেই ঘোষণাপত্র তৈরি করা উচিত।

দলটির স্থায়ী কমিটির এক সদস্য বলেন, "শুধু ৩৬ দিনের আন্দোলনের কারণে শেখ হাসিনার পতন হয়নি। বিএনপি দীর্ঘদিন ধরে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের লড়াই চালিয়েছে, যার জন্য বহু নেতাকর্মী নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। তাই ঘোষণাপত্রে এসব স্বীকৃতি থাকা জরুরি।"

বিএনপির লক্ষ্য, ঘোষণাপত্রকে যুগপৎ আন্দোলনে থাকা দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে গ্রহণযোগ্য করে তোলা।

বিএনপির সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলনে থাকা ১২ দলীয় জোটের সমন্বয়ক ও বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান সৈয়দ এহসানুল হুদা বলেন, "জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে গুম-খুন, নির্যাতনসহ নানা ইস্যু নিয়ে আলোচনা হওয়া উচিত। আমরা আমাদের প্রস্তাবনা বিএনপির কাছে জমা দিয়েছি।

গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর বলেন, "জুলাই ঘোষণাপত্র নিয়ে কিছু সংশয় তৈরি হয়েছিল। তবে এটাও মনে রাখতে হবে, ফ্যাসিস্ট সরকারের পতন শুধু ৩৬ দিনের আন্দোলনের ফল নয়।

বিএনপিসহ বিভিন্ন দল দীর্ঘদিন ধরে লড়াই করে এসেছে। তাই ঘোষণাপত্রে সবার ভূমিকা যথাযথভাবে তুলে ধরা প্রয়োজন।"

আজকের স্থায়ী কমিটির সভায় ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ নিয়ে আলোচনা হবে।

এসআর

মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর