তিনি জানিয়েছেন, কমিশনের অনেক সুপারিশ বাস্তবায়ন হলে, তা নির্বাচন কমিশনের স্বাধীনতা হ্রাস করতে পারে।
রোববার নির্বাচন ভবনে আয়োজিত আরএফইডি টক অনুষ্ঠানে সিইসি বলেন, “সংস্কার কমিশনের কিছু সুপারিশ বাস্তবায়ন হলে, কমিশনের স্বাধীন দায়িত্ব পালন কঠিন হয়ে পড়বে।” এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য সুপারিশগুলো হলো- নির্বাচন কমিশনকে সংসদীয় কমিটির কাছে জবাবদিহি করার ক্ষমতা দেওয়া, সীমানা পুনঃনির্ধারণে আলাদা স্বাধীন কর্তৃপক্ষ গঠন, এবং ভোটার তালিকা প্রণয়নের জন্য আলাদা কর্তৃপক্ষের অধীনে পরিচালনা। এসব প্রস্তাবের বিরোধিতা করে সিইসি বলেন, এটি কমিশনের সাংবিধানিক স্বাধীনতার পরিপন্থী।
এছাড়া, তিনি উল্লেখ করেন যে, যদি ডিসেম্বর মাসে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে হয়, তবে তার প্রস্তুতি নিতে অক্টোবর মাস থেকে কাজ শুরু করতে হবে। সংস্কারের জন্য যদি অতিরিক্ত সময়ের প্রয়োজন হয়, তবে সেটি কমিশনের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াবে।
স্থানীয় সরকার নির্বাচন সম্পর্কে সিইসি বলেন, এটি নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব নয়, বরং সরকারের বিষয়। তিনি জানান, স্থানীয় নির্বাচনের আয়োজন করতে এক বছরের মতো সময় লাগবে। যদি এসব নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়, তবে জাতীয় নির্বাচনের জন্য প্রধান উপদেষ্টার দেওয়া সময়সীমার মধ্যে নির্বাচন সম্পন্ন করা সম্ভব নাও হতে পারে।
আওয়ামী লীগ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, এটি নির্ভর করছে শেষ পর্যন্ত দলটির নিবন্ধন অব্যাহত থাকে কিনা তার ওপর। তবে, আওয়ামী লীগের নিবন্ধন ইস্যু কমিশনের নয়, এটি রাজনৈতিকভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়ার বিষয়।
সিইসি আরও বলেন, জাতীয় নির্বাচন আয়োজনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর পুরোপুরি নির্ভর করতে চান না তারা। জনগণকেই তারা অনিয়ম প্রতিরোধে পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে দায়িত্ব নিতে উৎসাহিত করবেন। প্রয়োজনে বিএনসিসিকে কাজে লাগানোর কথাও জানান তিনি।
এসআর
মন্তব্য করুন: