[email protected] শুক্রবার, ১১ এপ্রিল ২০২৫
২৮ চৈত্র ১৪৩১

ভ্যাট বাড়ানোর পরিবর্তে সরকারের খরচ কমানোর আহ্বান বিএনপির

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৮ জানুয়ারি ২০২৫ ১:১৯ পিএম

ফাইল ছবি

সরকারের উচিত অপ্রয়োজনীয় ও অযৌক্তিক উন্নয়ন প্রকল্প বাদ দিয়ে বাজেট পুনর্বিন্যাস করা।

শনিবার (১৮ জানুয়ারি) রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ মন্তব্য করেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

সরকারের অপ্রয়োজনীয় উন্নয়ন প্রকল্প, পরিচালন ব্যয়, এবং স্বায়ত্তশাসিত সংস্থাগুলোর ঋণ বাজেট কমানোর মাধ্যমে ভ্যাট বাড়ানো ছাড়াই আর্থিক সঙ্কট মোকাবিলা করা সম্ভব। 

মির্জা ফখরুল বলেন, “সরকারের উচিত অপ্রয়োজনীয় ও অযৌক্তিক উন্নয়ন প্রকল্প বাদ দিয়ে বাজেট পুনর্বিন্যাস করা এতে প্রায় ২০ শতাংশ ব্যয় কমানো সম্ভব, যা ৬০ হাজার কোটি টাকার মতো সাশ্রয় করবে।

একই সঙ্গে পরিচালন ব্যয় ১০ শতাংশ কমালে আরও ৫০ হাজার কোটি টাকা বাঁচানো যাবে। এভাবে বাজেটে অন্তত ১ লাখ কোটি টাকার ঘাটতি পূরণ সম্ভব।”

তিনি আরও বলেন, স্বায়ত্তশাসিত সংস্থাগুলোর জন্য বরাদ্দকৃত ৫০,৮৭৫ কোটি টাকার ঋণ বাজেট সাময়িকভাবে কমিয়ে অর্থনৈতিক ভারসাম্য রক্ষা করা যেতে পারে।

ভ্যাট বাড়ানোর সিদ্ধান্তে ব্যবসায়ী এবং অর্থনীতিবিদদের তীব্র অসন্তোষের প্রসঙ্গ তুলে বিএনপি মহাসচিব বলেন, “ভ্যাট বাড়ানো সরাসরি জনজীবনে প্রভাব ফেলে।

ওষুধ, এলপিজি, মোবাইল সেবা, রেস্তোরাঁর খাবার এবং পোশাকের মতো নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যে ভ্যাট বৃদ্ধির ফলে সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ আরও বাড়বে। এর ফলে মূল্যস্ফীতির হারও বেড়ে যেতে পারে।

তিনি উল্লেখ করেন, সরকারের দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনার কারণেই দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা ভঙ্গুর হয়ে পড়েছে। “সরকার যদি পরোক্ষ কর বাড়ানোর পরিবর্তে প্রত্যক্ষ কর বাড়ানোর দিকে মনোযোগ দেয়, তবে নিম্নবিত্ত মানুষের ওপর বোঝা কমবে এবং অর্থনীতি আরও টেকসই হবে,” বলেন মির্জা ফখরুল।

সরকারের নীতিমালা পুনর্বিন্যাসের আহ্বান জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, “সরকারের উচিত রাজস্ব সংগ্রহের জন্য বিকল্প পথ খোঁজা এবং জনগণের ওপর করের বাড়তি চাপ না দেওয়া। ভুল নীতিমালা দেশের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতাকে আরও ক্ষতিগ্রস্ত করবে।”

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী এবং চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জবিউল্লাহ।

এসআর

মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর