রাষ্ট্র সংস্কারের জন্য গঠিত ছয়টি কমিশনের মধ্যে চারটি কমিশন তাদের প্রতিবেদন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে জমা দিয়েছে।
কমিশনগুলো হলো নির্বাচন কমিশন, দুর্নীতি দমন কমিশন, পুলিশ কমিশন এবং সংবিধান সংস্কার কমিশন। বুধবার তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে কমিশন প্রধানরা এই প্রতিবেদন জমা দেন।
সংবিধান সংস্কার কমিশন তাদের প্রতিবেদনে পুলিশসহ বিভিন্ন বিষয়ে দুটি গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাব উপস্থাপন করেছে।
সংবিধান সংস্কার: একনায়কতন্ত্র ঠেকাতে এবং ক্ষমতার ভারসাম্য আনতে সংবিধান সংস্কার কমিশন বেশ কিছু সুপারিশ করেছে। কমিশন জাতীয় সংসদকে দ্ব chambersিক করার প্রস্তাব দিয়েছে। এতে নিম্নকক্ষে আসন সংখ্যা হবে ৪০০, যার মধ্যে ১০০ আসন নারী সদস্যদের জন্য সংরক্ষিত থাকবে এবং তারা সরাসরি ভোটে নির্বাচিত হবেন। উচ্চকক্ষে আসন সংখ্যা হবে ১০৫টি। এর ফলে মোট আসন সংখ্যা হবে ৫০৫টি, এবং নির্বাচন হবে আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব পদ্ধতিতে।
পুলিশ সংস্কার: পুলিশ বাহিনীকে রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত করে স্বাধীনভাবে কাজ করার পরামর্শ দিয়েছে পুলিশ সংস্কার কমিশন। বিশেষ করে, প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহারের উপর কড়া নিষেধাজ্ঞা, পুলিশ বাহিনীতে পদোন্নতি ও নিয়োগে স্বচ্ছতা আনতে এবং নজরদারির ব্যবস্থা শক্তিশালী করার সুপারিশ করা হয়েছে। কমিশন উল্লেখ করেছে যে, আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে পুলিশ বাহিনী কিছু ক্ষেত্রে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত হয়েছিল, যা দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি এবং মানুষের নিরাপত্তায় নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে।
এছাড়া, কমিশন পুলিশের প্রশিক্ষণ এবং কর্মপরিবেশ উন্নত করার উপরও গুরুত্ব দিয়েছে, যাতে তারা সাধারণ জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারেবেন।
অন্যান্য কমিশনের সুপারিশ:
নির্বাচন কমিশন: নির্বাচন পদ্ধতির সংস্কারে আইনি পরিবর্তনের সুপারিশ করেছে কমিশন। নতুন নির্বাচনী আচরণবিধি প্রণয়ন এবং নির্বাচন কমিশনের স্বাধীনতা নিশ্চিত করার জন্য সংশোধনী প্রস্তাব করা হয়েছে।
দুর্নীতি দমন কমিশন: দুদক-এর নিয়োগ প্রক্রিয়া সংস্কারের পাশাপাশি আইনি ক্ষমতা বৃদ্ধি এবং উচ্চপর্যায়ের দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার সুপারিশ করেছে।
এছাড়া, জনপ্রশাসন কমিশন আরও সময় নিতে চায় এবং বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন আগামী ৩১ জানুয়ারি তাদের প্রতিবেদন জমা দেবে, এমনটি সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে।
এসআর
মন্তব্য করুন: