দেশে প্রথমবারের মতো একজন নারীর শরীরে হিউম্যান মেটানিউমোভাইরাস (এইচএমপিভি) শনাক্ত হয়েছে।
আক্রান্ত ব্যক্তির বাড়ি কিশোরগঞ্জ জেলার ভৈরব এলাকায়।
রোববার (১২ জানুয়ারি) সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর) এর ভাইরোলজি বিভাগের প্রধান ডা. আহমেদ নওশের আলম গণমাধ্যমে এই তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, আক্রান্ত ব্যক্তির শরীরে এইচএমপিভি ভাইরাসের পাশাপাশি আরও একটি ব্যাকটেরিয়া, ক্লেবসিয়েলা নিউমোনিয়া শনাক্ত হয়েছে। তবে এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য পরে জানানো হবে।
এদিকে, নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা জানান, আক্রান্ত নারী বর্তমানে রাজধানীর সংক্রামক ব্যাধি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন এবং তার শারীরিক অবস্থা আগের চেয়ে কিছুটা ভালো। তিনি নিশ্চিত করেছেন, আক্রান্ত ব্যক্তি দেশেই এই ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন, কারণ তার বিদেশে ভ্রমণের কোনো ইতিহাস নেই।
আইইডিসিআরের পরিচালক অধ্যাপক তাহমিনা শিরীন জানান, এইচএমপিভি ভাইরাস নতুন কিছু নয় এবং প্রতিবছর বাংলাদেশে কিছু সংখ্যক মানুষ এ ভাইরাসে আক্রান্ত হন। তিনি বলেন, "এই ভাইরাস বাংলাদেশে অনেক আগে থেকেই রয়েছে, তাই এ নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই।"
বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, এইচএমপিভি ভাইরাসের জন্য নির্দিষ্ট কোনো অ্যান্টিভাইরাল থেরাপি বা ভ্যাকসিন নেই এবং চিকিৎসা রোগের উপসর্গ অনুযায়ী করা হয়।
এ ভাইরাস ২০০১ সাল থেকে বাংলাদেশে পাওয়া যাচ্ছে, যদিও এর প্রাদুর্ভাব সম্প্রতি চীনে দেখা যায় এবং এখন এটি জাপান, মালয়েশিয়া ও ভারতেও ছড়িয়ে পড়েছে। সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি) জানিয়েছে, এই ভাইরাস শিশু, বয়স্ক মানুষ এবং দুর্বল ইমিউন সিস্টেমের মানুষের মধ্যে বেশি দেখা যায় এবং এটি ব্রংকাইটিস বা নিউমোনিয়া সৃষ্টি করতে পারে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এই ভাইরাসের বিরুদ্ধে অনেকের মধ্যে অ্যান্টিবডি তৈরি হয়ে গেছে, যার ফলে এটি করোনা ভাইরাসের মতো অতিরিক্ত আতঙ্কের সৃষ্টি করবে না।
এসআর
মন্তব্য করুন: