[email protected] শনিবার, ১১ জানুয়ারি ২০২৫
২৭ পৌষ ১৪৩১

ভারতের মধ্যে চীনের নতুন শহর ঘোষণা, নয়াদিল্লির প্রতিবাদ!

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ৩ জানুয়ারি ২০২৫ ৯:৪৬ পিএম
আপডেট: ০৩ জানুয়ারি ২০২৫ ৯:৪৭ পিএম

ফাইল ছবি

উত্তর-পশ্চিম চীনের জিনজিয়াং উইঘুর স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলের সরকার সম্প্রতি দুটি নতুন প্রশাসনিক অঞ্চল (কাউন্টি) প্রতিষ্ঠার ঘোষণা দিয়েছে।

নতুন কাউন্টি দুটি হলো হে'আন এবং হেকাং। তবে এ ঘোষণায় তীব্র আপত্তি জানিয়েছে ভারত, কারণ এসব অঞ্চলের কিছু অংশ ভারতের কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল লাদাখের অন্তর্ভুক্ত।

ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেন, "চীনের ঘোষিত কাউন্টিগুলোর কিছু অংশ লাদাখের মধ্যে পড়ে।

আমরা কখনোই ভারতীয় ভূখণ্ডে চীনের বেআইনি দখলদারিত্ব মেনে নিইনি এবং নেবও না।" তিনি আরও জানান, এ বিষয়ে কূটনৈতিক চ্যানেলের মাধ্যমে চীনের কাছে ভারত তাদের প্রতিবাদ জানিয়েছে।

চীনের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম সিনহুয়া গত ২৭ ডিসেম্বর জানায়, নতুন কাউন্টি গঠনের এই সিদ্ধান্ত চীনের কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটি এবং রাষ্ট্রীয় পরিষদ অনুমোদন দিয়েছে। তবে ভারতের দাবি, এই সিদ্ধান্ত লাদাখের ভূখণ্ডে চীনের দখলদারিত্বকে আরও বৈধতা দেওয়ার একটি প্রচেষ্টা।

রণধীর জয়সওয়াল বলেন, "চীনের নতুন কাউন্টি গঠনের সিদ্ধান্ত ভারতের সার্বভৌমত্বে কোনো প্রভাব ফেলবে না। এটি চীনের অবৈধ ও জোরপূর্বক দখলদারিত্বকে বৈধতা দেয় না। আমরা এ বিষয়ে দৃঢ় অবস্থানে আছি।"

এদিকে, চীন তিব্বতের ইয়ারলুং সাংপো নদীর ওপর একটি জলবিদ্যুৎ প্রকল্প নির্মাণ করছে বলে সিনহুয়া ২৫ ডিসেম্বর আরেকটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। ইয়ারলুং সাংপো নদী ভারতের ব্রহ্মপুত্র নামে পরিচিত।

ব্রহ্মপুত্র নদে চীনের প্রকল্প নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, "আমরা এই প্রকল্পের কারণে সম্ভাব্য পরিবেশগত ও অর্থনৈতিক প্রভাব নিয়ে চীনের কাছে উদ্বেগ জানিয়েছি। এই ধরনের প্রকল্পে পারস্পরিক আস্থা ও আন্তর্জাতিক নিয়ম মেনে চলা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।"

চীন ও ভারতের মধ্যে সীমান্ত নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই উত্তেজনা বিরাজ করছে। নতুন কাউন্টি প্রতিষ্ঠার ঘোষণা এবং ব্রহ্মপুত্র নদে জলবিদ্যুৎ প্রকল্প নির্মাণে ভারতের কূটনৈতিক পদক্ষেপ উত্তেজনা আরও বাড়তে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

তথ্যসূত্র: এনডিটিভি

 

এসআর

মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর