ফ্যাসিবাদবিরোধী দৃঢ় প্রত্যয়ে আজ রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে শপথ নেবেন ছাত্র-জনতা।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটির উদ্যোগে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন বিভিন্ন দল ও মতের নেতাকর্মীরা।
তবে পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী আজ ‘জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্র’ প্রকাশের সম্ভাবনা ক্ষীণ। অন্তর্বর্তী সরকারের জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে একটি ঘোষণাপত্র তৈরির প্রস্তাবকে ঘিরে নানা দিক থেকে বিতর্ক চলছে।
ফ্যাসিবাদ ব্যবস্থা ভেঙে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র বিনির্মাণের লক্ষ্যে ছাত্র-জনতা দীপ্ত শপথ নেবেন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকে আজকের সমাবেশে অংশগ্রহণের জন্য দেশের সকল রাজনৈতিক দলকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে, তবে আওয়ামী লীগ ও তাদের সহযোগীদের আমন্ত্রণ জানানো হয়নি।
অনুষ্ঠানে একটি তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হবে যেখানে আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে সংঘটিত নির্যাতন, গুম, খুন, দুর্নীতি ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা তুলে ধরা হবে। সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার ভূমিকার প্রশংসাও এতে বিশেষভাবে তুলে ধরা হবে।
জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্রে মোট ২৯টি ধারা অন্তর্ভুক্ত থাকবে। এই ধারাগুলোর মধ্যে রয়েছে:গণতান্ত্রিক কাঠামোর পুনর্গঠন, বাহাত্তরের সংবিধানের সংশোধন, ভোটাধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠা।রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের রাজনৈতিকীকরণ বন্ধ।
এই ঘোষণাপত্রের মাধ্যমে বৈষম্যমুক্ত একটি নতুন রাষ্ট্র গঠনের ভিত্তি স্থাপন হবে বলে আয়োজকরা মনে করছেন।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) আজকের অনুষ্ঠান ঘিরে বিশেষ ট্রাফিক নির্দেশনা দিয়েছে। সমাবেশে আগত যানবাহনের জন্য নির্ধারিত পার্কিং ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখ্য সমন্বয়ক আব্দুল হান্নান মাসুদ বলেন, “আমাদের লক্ষ্য লাখো মানুষের সমাবেশ। এই ঘোষণাপত্র ভবিষ্যৎ রাষ্ট্র বিনির্মাণের দিকনির্দেশনা দেবে।”
আজকের সমাবেশে জুলাই অভ্যুত্থানের শহিদ পরিবারের সদস্য ও আহত ব্যক্তিদের উপস্থিতি বিশেষ গুরুত্ব বহন করবে। অনুষ্ঠান শেষে ঘোষণাপত্রটি ৫ আগস্ট থেকে কার্যকর হওয়ার ঘোষণা দেওয়া হতে পারে।
এসআর
মন্তব্য করুন: