[email protected] বৃহঃস্পতিবার, ২ জানুয়ারি ২০২৫
১৯ পৌষ ১৪৩১

জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্র আসছে কাল: থাকবে নতুন স্বপ্ন ও লক্ষ্য

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪ ৫:২৯ পিএম

ফাইল ছবি

আগামীকাল (৩০ ডিসেম্বর) বিকেল ৩টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশিত হবে জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্র।

এতে বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ স্বপ্ন, লক্ষ্য, অভিপ্রায় ও পরিকল্পনার দিকনির্দেশনা থাকবে।

ঘোষণাপত্রে উল্লেখ করা হবে ১৯৭২ সালের সংবিধানের সংশোধন প্রস্তাব এবং আওয়ামী লীগকে বাংলাদেশের রাজনীতিতে অপ্রাসঙ্গিক হিসেবে চিহ্নিত করার বিষয়টি।

এদিন উপদেষ্টা পরিষদ থেকে শুরু করে চা শ্রমিক, রিকশাচালক, কৃষকসহ সমাজের নানা স্তরের মানুষ উপস্থিত থাকবেন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটির আয়োজনে এটি প্রকাশিত হবে।

রবিবার (২৯ ডিসেম্বর) রাজধানীর বাংলামোটরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন আয়োজকরা।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ, মুখ্য সংগঠক আব্দুল হান্নান মাসুদ এবং জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম।

হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্র প্রকাশ একটি দেরিতে হলেও জরুরি পদক্ষেপ। আমাদের অভ্যুত্থানের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে।

যারা দেশের স্বাধীনতার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করেছে, তাদের বিরুদ্ধে এই ঘোষণাপত্র শক্তিশালী বার্তা দেবে। আমরা আশা করি, ঘোষণাপত্রের মাধ্যমে ফ্যাসিবাদী শক্তিগুলো চিরতরে পরাজিত হবে।

আব্দুল হান্নান মাসুদ বলেন, “বিচারহীনতার সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে এসে আমরা একটি ন্যায্য ও গণমুখী ব্যবস্থা চাই। ঘোষণাপত্রে এটি স্পষ্টভাবে উল্লেখ থাকবে।

আমাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রকারীরা সচিবালয়ে অগ্নিকাণ্ড ঘটিয়ে দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে। ৩১ ডিসেম্বর আমরা তাদের বিরুদ্ধে স্পষ্ট বার্তা দেব।”

সারজিস আলম বলেন, জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্র বাংলাদেশের নতুন ভবিষ্যতের দলিল হিসেবে কাজ করবে। এতে জনগণের প্রত্যাশা এবং পুরোনো ভ্রান্ত সিস্টেমগুলোকে প্রত্যাখ্যানের বিষয়টি লিপিবদ্ধ থাকবে। এটি শহিদ পরিবারের ত্যাগ ও স্বপ্নকে ধারণ করে এগিয়ে যাবে।

জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্রে সমাজের প্রতিটি স্তরের মানুষের আকাঙ্ক্ষাকে প্রতিফলিত করা হবে।

এতে নতুন সিস্টেম প্রতিষ্ঠার দিকনির্দেশনা দেওয়া হবে এবং বিগত সিস্টেমের ত্রুটিগুলো তুলে ধরা হবে।

ঘোষণাপত্র বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ উন্নয়নের ভিত্তি হিসেবে কাজ করবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন আয়োজকরা।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে চা শ্রমিক, রিকশাচালক, কৃষক, মজুর, প্রবাসী, ব্যবসায়ী, সংস্কৃতিসেবী, এবং রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দসহ বিভিন্ন স্তরের মানুষ অংশ নেবেন বলে জানানো হয়েছে।

 

এসআর

মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর