কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে লাঞ্ছিত বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাই কানু নিরাপত্তার অভাবে বাড়ি ছেড়ে চলে গেছেন।
তিনি কুমিল্লা থেকে ফেনীতে তার ছেলের কাছে আশ্রয় নেন বলে তার পরিবার জানিয়েছে।
সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) গণমাধ্যমকে আব্দুল হাই জানান, ফেনীতে অবস্থান করে তিনি চিকিৎসা নিয়েছেন। পুলিশের নিরাপত্তা নিশ্চিত হলে নিজ বাড়িতে ফেরার ইচ্ছা প্রকাশ করেন।
বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাই জানান, গতকাল দুপুরে ওষুধ কিনতে স্থানীয় বাজারে গেলে স্থানীয় জামায়াত কর্মী আবুল হাসেমের নেতৃত্বে ১০-১২ জন তাকে জুতার মালা পরিয়ে অপমান করে। সেই সঙ্গে এলাকা ছাড়ার হুমকি দেয়।
এ ঘটনার ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে বিষয়টি আলোচনায় আসে।
আব্দুল হাইয়ের স্ত্রী রেহানা বেগম বলেন, “স্বামীর আত্মসম্মানে বড় আঘাত লেগেছে। এ কারণেই তিনি এলাকা ছেড়েছেন। এর আগে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর আমাদের বাড়িতে হামলা চালানো হয়েছিল।
ছেলে গোলাম মোস্তফা ভূঁইয়া জানান, হামলাকারীরা স্থানীয় জামায়াত-শিবিরের কর্মী। তিনি বলেন, “একজন বীর মুক্তিযোদ্ধার সঙ্গে এমন আচরণ মেনে নেওয়া যায় না। আমি এর বিচার চাই।
চৌদ্দগ্রাম থানার ওসি এ টি এম আক্তার উজ জামান বলেন, “ভিডিও দেখে মুক্তিযোদ্ধার সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। তিনি অভিযোগ করতে রাজি নন, তবে আমরা অভিযুক্তদের চিহ্নিত করার চেষ্টা করছি। আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
চৌদ্দগ্রাম উপজেলা জামায়াতের আমীর মো. মাহফুজুর রহমান দাবি করেন, “ঘটনার সঙ্গে স্থানীয় জামায়াতের কোনো সম্পৃক্ততা নেই। অভিযুক্ত আবুল হাসেম আমাদের দলের সদস্য নন। তবে সমর্থক বা অনুসারী হতে পারেন। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”
এ ঘটনায় দেশের বিভিন্ন মহলে নিন্দার ঝড় উঠেছে। বীর মুক্তিযোদ্ধাকে অপমানের ঘটনায় প্রধান উপদেষ্টাসহ বিভিন্ন নেতৃবৃন্দ গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
এসআর
মন্তব্য করুন: