বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় এবং ভূমি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এএফ হাসান আরিফের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।
শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় এক শোকবার্তায় রাষ্ট্রপতি বলেন, "এএফ হাসান আরিফের মৃত্যু বাংলাদেশের জন্য এক অপূরণীয় ক্ষতি।" তিনি মরহুমের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
এর আগে, শুক্রবার বিকেল ৩টায় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে রাজধানীর ল্যাবএইড হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন এএফ হাসান আরিফ। তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৫ বছর।
হাসান আরিফ ১৯৪১ সালে কলকাতায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজ, কলকাতা থেকে মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সম্পন্ন করেন। পরবর্তীতে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক এবং এলএলবি ডিগ্রি অর্জন করেন।
কর্মজীবনে, তিনি ১৯৬৭ সালে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কলকাতা হাইকোর্টে আইনজীবী হিসেবে কাজ শুরু করেন এবং পরে ঢাকায় এসে বাংলাদেশ হাইকোর্টে আইনজীবী হিসেবে প্রতিষ্ঠা পান। তিনি বাংলাদেশ সরকারের সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল ছিলেন এবং ২০০১ সালের অক্টোবর থেকে ২০০৫ সালের এপ্রিল পর্যন্ত এই পদে দায়িত্ব পালন করেন।
এছাড়া, হাসান আরিফ ২০০৮ সালের জানুয়ারি থেকে ২০০৯ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত বাংলাদেশের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আইন উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করেছেন। তিনি ফখরুদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়, ভূমি ও ধর্ম মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
এএফ হাসান আরিফ আন্তর্জাতিক বাণিজ্য, করপোরেট আইন, ব্যাংকিং, সিকিউরিটিজ, আরবিট্রেশন এবং বিকল্প বিরোধ সমাধানসহ একাধিক বিষয় নিয়ে কাজ করেছেন এবং বিদেশি বিনিয়োগকারীদের পরামর্শ দিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, ২০০৭-২০০৮ সালের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পর, গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ৮ আগস্ট তিনি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নেন।
হাসান আরিফের মৃত্যু দেশের আইনজীবী ও রাজনৈতিক অঙ্গনে গভীর শোকের ছায়া ফেলেছে।
এসআর
মন্তব্য করুন: