সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শাসনামলের শেষ পাঁচ বছরে দেশে ১৬ হাজারের বেশি হত্যাকাণ্ড ঘটেছে, যার মধ্যে প্রতিদিন গড়ে ৯ জনেরও বেশি মানুষ হত্যার শিকার হয়েছেন।
পুলিশ সদর দপ্তরের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত অপরাধ পরিসংখ্যান থেকে এ তথ্য জানা গেছে। এছাড়া, এই সময়ের মধ্যে প্রায় আড়াই হাজার অপহরণের ঘটনাও ঘটেছে।
পুলিশ সদর দপ্তরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০১৯ থেকে ২০২৩ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত শুধু খুন ও অপহরণ নয়, ছিনতাইয়ের অভিযোগও এসেছে প্রায় ১০ হাজার। আর ডাকাতির মামলা হয়েছে ১ হাজার ৬০০। নারী ও শিশু নির্যাতনের ঘটনাও ছিল উদ্বেগজনক, যা সামাজিক অবস্থা নিয়ে গভীর প্রশ্ন তোলে।
প্রতিবেদনটি নিয়ে পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক নুরুল হুদা মন্তব্য করেছেন যে, বিগত সরকারের সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অত্যধিক শক্তি প্রয়োগ করেছে, যার ফলস্বরূপ অপরাধের হার বেড়েছে। তিনি বলেন, সরকার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নিজের স্বার্থে ব্যবহারের মাধ্যমে অপরাধীদের বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ হয়েছে।
মানবাধিকার কর্মী নূর খান মনে করেন, পুলিশ দ্বারা প্রদত্ত পরিসংখ্যান বাস্তবতা থেকে আরও বেশি ভয়াবহ। তার মতে, অনেক হত্যাকাণ্ডই ঘটেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে, বিশেষত ক্রসফায়ারের নামে। তিনি আরও বলেন, এসব মানবতাবিরোধী অপরাধের পুনরাবৃত্তি রোধে বিগত ১৫ বছরে সংঘটিত সব অপহরণ, নির্যাতন ও গুম-খুনের ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত হওয়া উচিত।
এছাড়া, নূর খান দাবি করেছেন, সামাজিক অপরাধ কমাতে সরকারকে কিশোর গ্যাংয়ের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে, যা অপরাধপ্রবণতা কমিয়ে আনতে সহায়ক হবে।
এসআর
মন্তব্য করুন: