[email protected] শুক্রবার, ১১ এপ্রিল ২০২৫
২৮ চৈত্র ১৪৩১

২০২৫ সালের শেষের দিকে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে: প্রধান উপদেষ্টা

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৬ ডিসেম্বর ২০২৪ ১:১০ পিএম

ফাইল ছবি

আগামী বছরের (২০২৫) শেষে কিংবা ২০২৬ সালের শুরুর দিকে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে বলে জানিয়েছেন অন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

তিনি বলেছেন, যদি নির্বাচন প্রক্রিয়া এবং নির্বাচন সংস্কার কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী জাতীয় ঐকমত্য প্রতিষ্ঠিত হয় এবং প্রয়োজনীয় সংস্কার সম্পন্ন করা হয়, তবে নির্বাচনের প্রস্তুতিতে অন্তত আরও ছয় মাস অতিরিক্ত সময় লাগতে পারে।

সোমবার সকাল ১০টায় মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে প্রধান উপদেষ্টা এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন। এটি ছিল গত আগস্ট মাসে দায়িত্ব গ্রহণের পর তার তৃতীয় ভাষণ।

প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, "আমি বারবার আবেদন জানিয়ে এসেছি যে, প্রধান সংস্কারগুলো সম্পন্ন করে নির্বাচন আয়োজন করতে। তবে রাজনৈতিক ঐকমত্যের ভিত্তিতে যদি নির্বাচন আয়োজনের জন্য সীমিত কিছু সংস্কার করে ভোটার তালিকা সঠিকভাবে প্রস্তুত করা হয়, তাহলে ২০২৫ সালের শেষের দিকে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে। আর যদি নির্বাচন প্রক্রিয়া এবং নির্বাচন সংস্কার কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী আরও ব্যাপক সংস্কার প্রয়োজন হয়, তাহলে নির্বাচনের জন্য অতিরিক্ত ছয় মাস সময় লাগতে পারে।"

তিনি আরও বলেন, "নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার এবং সংবিধান সংশোধন কমিশনের সুপারিশের ওপরই আগামী নির্বাচনের প্রস্তুতি এবং তারিখ নির্ভর করছে।"

ড. ইউনূস জাতির উদ্দেশে বলেন, "আমরা যদি সবাই মিলে একটি ঐতিহ্য সৃষ্টি করতে পারি, যেখানে প্রতিটি নির্বাচনে, বিশেষ করে স্থানীয় নির্বাচনে, প্রথমবারের ভোটাররা ১০০ শতাংশের কাছাকাছি ভোটদান করবে, তবে ভবিষ্যতে কোনো সরকার মানুষের ভোটাধিকার কেড়ে নেওয়ার সাহস করবে না।"

তিনি এও জানান, "প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়ে গেছে এবং তারা দায়িত্ব গ্রহণ করেছে। এখন তাদের হাতে নির্বাচন কমিশনের প্রস্তুতির কাজ রয়েছে, যার মধ্যে সবচেয়ে বড় কাজ হচ্ছে ভোটার তালিকা হালনাগাদ করা।"

তিনি বলেন, "গত তিনটি নির্বাচনে ভোটারদের অংশগ্রহণের সুযোগ না পাওয়ার পর, এবার নতুন ভোটারদের নাম তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা নিশ্চিত করতে হবে। বিশেষ করে তরুণ-তরুণীরা, যারা প্রথমবারের মতো ভোট দেবেন, তাদের জন্য একটি স্মরণীয় অভিজ্ঞতা তৈরি করা গুরুত্বপূর্ণ।"

প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, "এবারের নির্বাচনে তরুণ ভোটাররা ১০০ শতাংশ ভোটদান করবে—এমন একটি ঐতিহ্য তৈরি করতে নির্বাচন কমিশন, সামাজিক প্রতিষ্ঠান এবং রাজনৈতিক দলগুলোকে সৃজনশীল কর্মসূচি গ্রহণের জন্য আহ্বান জানাচ্ছি।"

তিনি আরও উল্লেখ করেন, "প্রথমবারের মতো প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভোট দেওয়ার সুযোগ নিশ্চিত করার জন্য আমরা দৃঢ় পদক্ষেপ নিতে চাই। অতীতে এই বিষয়ে অনেকবার আশ্বাস দেওয়া হলেও, এবারের সরকার তা বাস্তবায়িত করতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।"

ড. ইউনূস বলেন, "সবকিছুই সময়সাপেক্ষ। নির্বাচন প্রক্রিয়া উন্নত করতে এবং নির্বাচন সংস্কার কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়ন করতে হলে, প্রয়োজনীয় সংস্কারের বিস্তৃতি ও গভীরতার সাথে নির্বাচন কমিশনকে পর্যাপ্ত সময় দেওয়া হবে।"

 

এসআর

মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর