দেশের আলোচিত ১০টি শিল্প গ্রুপ ও ব্যক্তির বিদেশে পাচার করা অর্থ উদ্ধারে সরকার বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে।
এ লক্ষ্যে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক), পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সমন্বয়ে ১০টি যৌথ টিম গঠন করা হয়েছে।
এ টিমগুলোর কাজ ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে এবং তাদের আইনি সহায়তা দেবে অ্যাটর্নি জেনারেলের অফিস।
তালিকাভুক্ত শিল্প গ্রুপের মধ্যে রয়েছে বেক্সিমকো, এস আলম, বসুন্ধরা, ওরিয়ন, নাসা, জেমকম, নাবিল, সামিট, শিকদার ও আরামিট গ্রুপ। এছাড়া সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদের নামও রয়েছে।
সরকারি সূত্র জানায়, এসব গ্রুপ ও ব্যক্তির বিরুদ্ধে বেআইনিভাবে ব্যাংক ঋণ গ্রহণ, সন্দেহজনক লেনদেন ও রাজস্ব ফাঁকির মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ রয়েছে। মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের আওতায় তাদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান চালানো হবে।
যা যা অনুসন্ধানে রয়েছে; ব্যাংক থেকে নেওয়া ঋণ, ঋণের ব্যবহারের দিকনির্দেশ, অর্থের গতিপথ, সম্পদ ও ব্যবসায়িক লেনদেন, সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম।
যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, সিঙ্গাপুর, কানাডা, সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ বিভিন্ন দেশের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে তথ্য চেয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে। এরই মধ্যে কিছু প্রাথমিক তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে।
ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দ
আলোচনায় থাকা ব্যক্তিদের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ইতোমধ্যে ফ্রিজ করেছে বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)। প্রাথমিক তদন্তে বেআইনি ব্যাংক লেনদেনের সুনির্দিষ্ট তথ্য মিলেছে।
সরকার বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখছে এবং বিদেশে পাচার হওয়া অর্থ ফেরাতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। এ বিষয়ে শিগগিরই বিস্তারিত প্রতিবেদন তৈরি করবে যৌথ টিম।
(সংবাদটি সংক্ষিপ্ত এবং সংশোধিত আকারে প্রকাশ করা হলো।)
এসআর
মন্তব্য করুন: