১২ বছর ৬ মাসের কম বয়সী ২ হাজার ১১১ জন মুক্তিযোদ্ধা তালিকা থেকে বাদ পড়বেন বলে জানিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপদেষ্টা ফারুক ই আজম। বুধবার মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান।
ফারুক ই আজম বলেন, “মুক্তিযোদ্ধাদের ন্যূনতম বয়স মন্ত্রণালয় থেকে ১২ বছর ৬ মাস নির্ধারণ করা হয়েছে। এর চেয়ে কম বয়সী ২ হাজার ১১১ জন রয়েছেন। এরা তালিকা থেকে বাদ পড়বেন। বহু অভিযোগ রয়েছে যে অনেকেই প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা না হয়েও তালিকাভুক্ত হয়েছেন এবং সব ধরনের সুবিধা গ্রহণ করেছেন। এটি জাতির সঙ্গে প্রতারণার শামিল। আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী এদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে, তাদের একটি সুযোগ দিতে সাধারণ ক্ষমা বা ইমডেমনিটি বিবেচনা করা হতে পারে। যদি তারা স্বেচ্ছায় তালিকা থেকে সরে যান, তবে সাধারণ ক্ষমার আওতায় আনা হতে পারে। অন্যথায় তাদের অভিযুক্ত করা হবে।”
মুক্তিযোদ্ধাদের বর্তমান পরিসংখ্যান
উপদেষ্টা জানান, ভাতাপ্রাপ্ত মোট বীর মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা ১ লাখ ৯৬ হাজার ৪৫৪ জন। এর মধ্যে:
•বীরাঙ্গনা: ৪৬৪ জন
•যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা: ৫ হাজার ৮৯৫ জন
•শহিদ বীর মুক্তিযোদ্ধা: ৫ হাজার ৩৩৩ জন
•খেতাবপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা: ৩৬৮ জন
সব মিলিয়ে মোট ভাতাপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ৮ হাজার ৫০ জন।
সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় নিয়োগপ্রাপ্তদের সংখ্যা ৮৯ হাজার ২৩৫ জন। এছাড়া শহীদ বুদ্ধিজীবীর সংখ্যা ৫৬০ জন বলে তিনি উল্লেখ করেন।
রাজাকারদের তালিকা নিয়ে করা এক প্রশ্নের জবাবে ফারুক ই আজম বলেন, “আমার কাছে রাজাকারদের কোনো তালিকা নেই। এ সংক্রান্ত কোনো নথি মন্ত্রণালয়ে পাওয়া যায়নি। এখন তালিকা তৈরি করতে চাইলেও করা সম্ভব নয়। ৫০ বছর আগের ঘটনা, কে কোথায় আছেন তা খুঁজে বের করা অত্যন্ত জটিল।”
ফারুক ই আজম আরও বলেন, প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের মর্যাদা যাতে ক্ষুণ্ন না হয়, সে বিষয়ে মন্ত্রণালয় সর্বোচ্চ সতর্ক রয়েছে।
এসআর
মন্তব্য করুন: