[email protected] বৃহঃস্পতিবার, ২ জানুয়ারি ২০২৫
১৯ পৌষ ১৪৩১

কলকাতা ও আগরতলার দুই কূটনীতিককে ঢাকায় ডাকা হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ৫ ডিসেম্বর ২০২৪ ১১:৩৫ পিএম

ফাইল ছবি

বাংলাদেশ এবং ভারতের মধ্যে সম্পর্কের টানাপড়েন পর্যালোচনা এবং ‘উদ্ভূত পরিস্থিতি বুঝতে’ আলোচনা করার জন্য কলকাতা এবং আগরতলা মিশনের দুই শীর্ষ কূটনীতিককে ঢাকায় ডাকা হয়েছে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং কলকাতায় বাংলাদেশ ডেপুটি হাইকমিশনের সূত্রে জানা যায়, কলকাতায় বাংলাদেশ ডেপুটি হাইকমিশনের অ্যাক্টিং ডেপুটি হাইকমিশনার মোহাম্মদ আশরাফুল শিকদার এবং আগরতলায় বাংলাদেশ অ্যাসিস্ট্যান্ট হাইকমিশনার আরিফ মোহাম্মদকে ঢাকায় তলব করা হয়েছে।

কলকাতায় বাংলাদেশ মিশন সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) ঢাকায় চলে গেছেন মোহাম্মদ আশরাফুল শিকদার। এ বিষয়ে অফিসিয়ালি কোনো বিবৃতি না এলেও, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায় যে, আরিফ মোহাম্মদ আগামী শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) ঢাকায় আসবেন।

এ ঘটনা ভারতের গণমাধ্যমে অতিরঞ্জিতভাবে প্রকাশিত রাজনৈতিক সহিংসতার পরিপ্রেক্ষিতে ঘটে। ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার সরকারের পতন নিয়ে ছাত্র আন্দোলনের পর ভারতের কিছু গণমাধ্যম বাংলাদেশের পরিস্থিতি সম্পর্কে বিভ্রান্তি ছড়ায়, যা বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ সৃষ্টি করে।

এর পর, ২ ডিসেম্বর ত্রিপুরা রাজ্যের আগরতলায় বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনে হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলোর সদস্যরা হামলা চালায়। হামলার সময়, বিক্ষোভকারীরা সহকারী হাইকমিশনের ভিতরে ঢুকে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা নামিয়ে ফেলে এবং ছিঁড়ে দেয়, পরে সাইনবোর্ড ভেঙে আগুন ধরিয়ে দেয়। একই ধরনের বিক্ষোভ মুম্বাই এবং কলকাতার হাইকমিশনের সামনে হয়।

এ ঘটনায় বাংলাদেশ ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়ে পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত এবং দোষীদের বিচারের দাবি জানায়। ঢাকায় ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মাকেও তলব করা হয়, যদিও ভারত সরকার এই ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছে।

এরপর থেকে আগরতলায় বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনের কনস্যুলার সেবা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে, নিরাপত্তার জন্য।

এদিকে, কলকাতার বাংলাদেশ ডেপুটি হাইকমিশনে প্রতিদিন বিভিন্ন রাজনৈতিক এবং হিন্দুত্ববাদী সংগঠন স্মারকলিপি জমা দিচ্ছে। গত বৃহস্পতিবার, কলকাতা মিশনে স্মারকলিপি জমা দেয় জাতীয় কংগ্রেস। তবে কলকাতা পুলিশ মিছিলটি বাংলাদেশ মিশনের আশপাশে যেতে দেয়নি এবং তা পার্ক সার্কাসে আটকে দেয়া হয়।

আগরতলার ঘটনায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা বাড়ানোর পর কলকাতায় বাংলাদেশ মিশনে পুলিশের নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে এবং যান চলাচল নিয়ন্ত্রিত হয়েছে।

 

এসআর

মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর