[email protected] শুক্রবার, ৩ জানুয়ারি ২০২৫
১৯ পৌষ ১৪৩১

২০২৩ সালে পাসপোর্টে সর্বোচ্চ দুর্নীতি: টিআইবি’র প্রতিবেদন

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ৩ ডিসেম্বর ২০২৪ ১:২৪ পিএম

ফাইল  ছবি

বিগত সরকারের আমলে দুর্নীতির বিরুদ্ধে "জিরো টলারেন্স" নীতি ঘোষণা করা হলেও ২০২৩ সালে দেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে দুর্নীতির ব্যাপকতা প্রকাশ করেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।

মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর মাইডাস সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এ প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান এবং গবেষক দলের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

২০২৩ সালের দুর্নীতির চিত্র:

টিআইবির প্রতিবেদনে জানানো হয়, ২০২৩ সালে দেশের ৭০.৯ শতাংশ পরিবার দুর্নীতির শিকার হয়েছে, এবং ৫০.৮ শতাংশ পরিবার ঘুষ দিতে বাধ্য হয়েছে। এই বছর সবচেয়ে বেশি দুর্নীতি এবং ঘুষের ঘটনা ঘটেছে পাসপোর্ট, বিআরটিএ এবং আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থাগুলিতে।

ঘুষের গড় পরিমাণ:

২০২৩ সালে পরিবারগুলো গড়ে ৫,৬৮০ টাকা ঘুষ বা অনৈতিক অর্থ প্রদান করতে বাধ্য হয়েছে। সবচেয়ে বেশি ঘুষের পরিমাণ দেওয়া হয়েছে বিচারিক সেবা, ভূমি সেবা এবং ব্যাংকিং খাতে।

জাতীয় পর্যায়ে ঘুষের পরিমাণ:

২০২৩ সালে জাতীয় পর্যায়ে ঘুষের মোট পরিমাণ প্রায় ১০,৯০২ কোটি টাকা, যা ২০২৩-২৪ অর্থবছরের সংশোধিত জাতীয় বাজেটের ১.৪৩ শতাংশ এবং বাংলাদেশের জিডিপির ০.২২ শতাংশের সমান।

দুর্নীতির দীর্ঘস্থায়ী সমস্যা:

২০০৯ থেকে ২০২৪ (এপ্রিল) পর্যন্ত সেবাখাতে দেশের মোট ঘুষের ন্যূনতম প্রাক্কলিত পরিমাণ প্রায় ১,৪৬,২৫২ কোটি টাকা। বিচারিক সেবা এবং আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থাগুলিতে দুর্নীতি ও ঘুষের হার এখনো উচ্চমানেই রয়েছে, যা সাধারণ মানুষের ন্যায়বিচার প্রাপ্তির ক্ষেত্রে বড় বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে। একইভাবে, ভূমি সেবা, পাসপোর্ট, জাতীয় পরিচয়পত্র এবং বিআরটিএ'র মতো গুরুত্বপূর্ণ সেবাখাতে দুর্নীতি এবং ঘুষের ঘটনা সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন জীবনের মৌলিক সেবা প্রাপ্তির পথকে বাধাগ্রস্ত করছে।

 

এসআর

মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর