ইসকন (ইন্টারন্যাশনাল সোসাইটি ফর কৃষ্ণ কনশাসনেস) নিষিদ্ধের দাবিতে বৃহস্পতিবার সারা দেশে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এতে ছাত্রদল, শিবির, হেফাজত, ছাত্র সংগঠন এবং সর্বস্তরের জনতা অংশ নেয়। বিক্ষোভকারীরা তরুণ আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যার খুনিদের দ্রুত গ্রেফতার ও ফাঁসির দাবি জানান।
বিক্ষোভে অংশগ্রহণকারীরা ‘ইসকনের কালো হাত, ভেঙে দাও গুঁড়িয়ে দাও’, ‘ইসকন তুই জঙ্গি, স্বৈরাচারের সঙ্গী’, ‘ইসকনের ঠিকানা, বাংলাদেশে হবে না’, ‘জন-জন খবর দে, ইসকন রে কবর দে’, ‘আমার সোনার বাংলায়, ইসকনের ঠাঁই নাই’—এমন নানা স্লোগান দিতে থাকেন।
বিক্ষোভের উল্লেখযোগ্য স্থানে ছিল ঝিনাইদহ, আনোয়ারা, ফেনী, ফরিদগঞ্জ, দিনাজপুরের হিলি, নেত্রকোনা, টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর, কলমাকান্দা, মৌলভীবাজার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, মুক্তাগাছা, সুনামগঞ্জের তাহিরপুর, গৌরীপুর, এবং বরিশালের গৌরনদী। এসব স্থান থেকে উপস্থিত নেতারা বক্তব্য দেন এবং ইসকন নিষিদ্ধ করার দাবি জানিয়ে প্রতিবাদ জানান।
ঝিনাইদহে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের যুগ্ম আহ্বায়ক কাজী ইমদাদুল হক মিছিলে নেতৃত্ব দেন, যেখানে ত্বাঈন, তৌফিক ওমর, শামীম, শাকিল, মুজাহিদ, নাঈমসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন। ফেনীর দাগনভূঞায়, ফরিদগঞ্জে এবং নেত্রকোনার বিভিন্ন স্থানে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। মিছিল ও সমাবেশে বক্তারা ইসকনের কার্যক্রম নিষিদ্ধের পাশাপাশি রাজনৈতিক, সামাজিক এবং সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে এর উপস্থিতি বন্ধ করার আহ্বান জানান।
নেত্রকোনায় খেলাফত ছাত্র আন্দোলনের সমাবেশে বক্তব্য দেন মাওলানা গাজী আবদুর রহিম, ম. কিবরীয়া চৌধুরী হেলিম, মুফতি আবদুল বারী, মাওলানা মোস্তফা জিহাদী প্রমুখ। টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে উপজেলা বিএনপির সম্পাদক সেলিমুজ্জামান সেলুর নেতৃত্বে এক বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া, সুনামগঞ্জ, মৌলভীবাজার, গৌরীপুর এবং বরিশালের গৌরনদীতে সর্বস্তরের জনতা এবং ছাত্ররা বিক্ষোভে অংশ নেন। সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে হেফাজত নেতা মাওলানা মঈনুদ্দীন, মুফতি মাওলানা সালেহ আহমদসহ আরও নেতারা বক্তব্য রাখেন।
এই বিক্ষোভগুলো সারা দেশে সম্প্রসারিত হওয়া এবং ইসকনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভের এক নতুন দিক উন্মোচিত করে, যা সারা দেশে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে।
এসআর
মন্তব্য করুন: