[email protected] রবিবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪
১৫ পৌষ ১৪৩১

টিআইবি: অন্তর্বর্তী সরকারের কৌশল ও রোডম্যাপের অভাব

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৮ নভেম্বর ২০২৪ ৩:৫৮ পিএম

ফাইল ছবি

আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর প্রশাসন পরিচালনায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দক্ষতা ও কর্মপরিকল্পনার ঘাটতি রয়েছে বলে মন্তব্য করেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।

 সংস্থাটি জানায়, সরকারের প্রয়োজনীয় কৌশল ও রোডম্যাপ এখনও অনুপস্থিত।

সোমবার দুপুরে ধানমন্ডির মাইডাস সেন্টারে 'নতুন বাংলাদেশ: কর্তৃত্ববাদী সরকার পতন-পরবর্তী ১০০ দিনের পর্যবেক্ষণ' শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে টিআইবি তাদের গবেষণাপত্র তুলে ধরে। গবেষণাপত্র পাঠ করেন সংস্থার প্রধান গবেষক শাহজাদা এম আকরাম।

গবেষণায় বলা হয়েছে, নতুন সরকার দায়িত্ব নেওয়ার ফলে রাষ্ট্র সংস্কার ও নতুন রাজনৈতিক ও সামাজিক কাঠামো তৈরি করার অভূতপূর্ব সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। যেখানে অন্তর্বর্তী সরকারের ক্ষমতার বহুমাত্রিক ভিত্তি ও অংশীজনদের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে। তবে, এই পথচলায় সরকারকে বহুমুখী চ্যালেঞ্জ ও ঝুঁকির সম্মুখীন হতে হচ্ছে।

টিআইবি জানায়, অন্তর্বর্তী সরকারের ওপর অর্পিত দায়িত্ব বাস্তবায়নে এখনও প্রয়োজনীয় কৌশল ও রোডম্যাপ প্রণয়ন করা হয়নি। সরকারের সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় অ্যাডহক প্রবণতা এবং উপদেষ্টা পরিষদ গঠন, দায়িত্ব বণ্টনসহ নানা গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত বিতর্কের সৃষ্টি করেছে।

প্রশাসন পরিচালনায় সরকারের দক্ষতা ও কর্মপরিকল্পনার ঘাটতির পাশাপাশি, সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে সরকারে দায়িত্বশীলদের মধ্যে সমন্বয়হীনতা লক্ষ্য করা গেছে। সরকারের পতনের পর বিভিন্ন স্থানে দখল ও আধিপত্য বিস্তারের সংস্কৃতি অব্যাহত রয়েছে, যেখানে এক দলীয়করণের পরিবর্তে নতুন একটি গোষ্ঠী প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।

রাজনৈতিক দল এবং বিভিন্ন অংশীজনদের পক্ষ থেকে সংস্কারের জন্য সরকারের প্রতি ধৈর্য ধারণের ঘাটতি লক্ষ্য করা গেছে, উল্লেখ করেছে টিআইবি।

গণমাধ্যমের স্বাধীনতার ওপরও হুমকি সৃষ্টি হচ্ছে, বিশেষত উদ্দেশ্যপ্রণোদিত আক্রমণ ও হুমকি-হামলা, এমনকি কিছু গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠান বন্ধ করার তৎপরতা গণমাধ্যমের স্বাধীনতার জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে পরিগণিত হচ্ছে।

টিআইবি আরও জানায়, সহিংসতা ও বলপ্রয়োগের কারণে জেন্ডার, ধর্মীয়, সাংস্কৃতিক ও নৃতাত্ত্বিক বৈচিত্র্য হুমকির মুখে পড়েছে।

গবেষণায় আন্তর্জাতিক সম্পর্ক নিয়ে উদ্বেগও প্রকাশ করা হয়েছে। বিশেষ করে ভারতের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্কের টানাপোড়েন ও আন্তর্জাতিক আর্থিক সহায়তা, বিশেষ করে বিশ্বব্যাংক, এডিবি ও আইএমএফের ঋণ সহায়তার শর্তাবলী, যা দেশের ঋণজট বৃদ্ধি করতে পারে, এ বিষয়ে আশঙ্কা রয়েছে।

এছাড়া, ভারত কর্তৃক কর্তৃত্ববাদী সরকারের পতনের পর নিজেদের ভুল স্বীকারে ব্যর্থতা এবং তার ফলে অপতৎপরতা, সরকার ও দেশের জন্য রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ঝুঁকি বাড়িয়েছে বলে টিআইবি তাদের গবেষণায় উল্লেখ করেছে।

 

এসআর

মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর