অন্তর্বর্তী সরকার সংবাদপত্র, মতপ্রকাশ ও সমাবেশের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে সফল হয়েছে।
গণমাধ্যমের ওপর সরকারি হস্তক্ষেপ না করাকে তিনি তার সরকারের অন্যতম বড় সাফল্য হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
সরকারের প্রথম ১০০ দিন পূর্তি উপলক্ষে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে নাহিদ বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার জনগণকে তাদের মত প্রকাশের সুযোগ করে দিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, গণমাধ্যম এখন সর্বোচ্চ স্বাধীনতার মধ্যে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করছে এবং সরকারের পক্ষ থেকে কোনো প্রকার বাধা বা হস্তক্ষেপ করা হয়নি।
নাহিদ আরও বলেন, "মুক্তিযুদ্ধের পর দেশের ইতিহাসে গণমাধ্যম ও জনগণ এতটা স্বাধীনতা আগে কখনো পেয়েছে কি না, তা নিয়ে সন্দেহ আছে।"
সাইবার নিরাপত্তা আইন বাতিলের প্রসঙ্গ তুলে তিনি জানান, এই আইনের অপব্যবহারের কারণে পূর্বে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা বাধাগ্রস্ত হয়েছিল। বর্তমানে নতুন নীতিমালা প্রণয়নের মাধ্যমে এ সমস্যা সমাধানের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, "দেশে দীর্ঘ স্বৈরাচারী শাসনের পর জনগণের মনে জমে থাকা নানা কথা প্রকাশ করার সুযোগ এখন দেওয়া হয়েছে। আমরা চাই, সবাই স্বাধীনভাবে কথা বলুক।"
তথ্য উপদেষ্টা সরকারের কার্যক্রম নিয়ে ধৈর্য ধরার আহ্বান জানিয়ে বলেন, "আমরা সব দাবি এখনই পূরণ করতে না পারলেও প্রতিটি যৌক্তিক দাবি বিবেচনা করছি।"
মন্ত্রণালয়ের প্রথম ১০০ দিনের কাজ নিয়ে তিনি বলেন, অফিস সংস্কার, কর্মকর্তাদের পুনর্বিন্যাস এবং পরিকল্পনা তৈরির ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
জুলাই বিপ্লবের প্রেক্ষাপট উল্লেখ করে তিনি জানান, এর ওপর ভিত্তি করে তথ্যচিত্র ও প্রকাশনা তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
সাংবাদিক সুরক্ষা ও কল্যাণ প্রসঙ্গে নাহিদ বলেন, "শহিদ ও আহত সাংবাদিকদের আর্থিক সহায়তা প্রদানে সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট কাজ করছে।" তিনি আরও জানান, সাংবাদিকদের পেশাগত দক্ষতা বাড়াতে মিডিয়া সংস্কার কমিশন একটি রোডম্যাপ প্রণয়ন করেছে।
সাংবাদিক সাগর সরোয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যার বিষয়ে তিনি বলেন, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলা হয়েছে।
মামলাটি দ্রুত নিষ্পত্তি করে বিচারের প্রমাণ জনগণ অন্তর্বর্তী সরকারের আমলেই দেখতে পাবে বলে তিনি আশাবাদী।
মন্ত্রণালয় সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলাগুলো পর্যালোচনা করতে একটি আট সদস্যের কমিটি গঠন করেছে। পাশাপাশি জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহত ও শহিদ সাংবাদিকদের আর্থিক সহায়তার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
এসআর
মন্তব্য করুন: