বাংলাদেশে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে সরকার শুল্ক ছাড় ও তদারকি বাড়ালেও বাজারে তা প্রত্যাশিত প্রভাব ফেলছে না।
চাল, ভোজ্যতেল, চিনি, পিয়াজ, আলু প্রভৃতি পণ্যের শুল্ক কমানো হলেও এসব পণ্যের দাম ক্রমশ বেড়ে চলেছে।
ভোজ্যতেল
ভোজ্যতেলের ক্ষেত্রে শুল্ক কমানোর পরও বাজারে দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। সয়াবিন তেলের লিটার প্রতি দাম ৩-৫ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। বোতলজাত সয়াবিন তেলের লিটার ১৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা গত সপ্তাহে ছিল ১৬৭ টাকা।
চিনি
চিনির ওপর শুল্ক কমানোর পরও বাজারে চিনির দাম বেড়েছে। বর্তমানে খোলা চিনি কেজি প্রতি ১৩০-১৩৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা পূর্বে ছিল ১২৭-১৩৫ টাকা।
পিয়াজ ও আলু
পিয়াজ ও আলুর দামও ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। দেশি পিয়াজের দাম প্রতি কেজিতে ১৫ টাকা বেড়ে ১২০-১৩৫ টাকায় পৌঁছেছে। আলুর দাম কেজিতে ৫ টাকা বেড়ে ৬০ টাকা হয়েছে, নতুন আলু বাজারে এলেও দাম কমছে না।
চাল
চালের ওপর শুল্ক ছাড়ের পরও বাজারে চালের দাম কেজিতে ২-৩ টাকা বেড়েছে। এনবিআরের আশাবাদ সত্ত্বেও বাজারে চালের দাম ক্রমশ বাড়ছে।
ডিম
শুল্ক ছাড় ও অভিযান পরিচালনার কারণে ডিমের বাজার কিছুটা স্বাভাবিক হয়েছে। এখন প্রতি ডজন লাল ডিম খুচরায় ১৪৫-১৫৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
মুরগি ও মাছ
সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি দামে মুরগি বিক্রি হচ্ছে। ব্রয়লার মুরগি কেজি প্রতি ২০০-২১০ টাকা এবং সোনালি মুরগি ৩০০-৩২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মাছের দামেও স্থিতিশীলতা আসেনি।
এই পরিস্থিতিতে সরকারের নজরদারি ও কার্যকর ব্যবস্থা আরও জোরদার না হলে বাজারে স্থিতিশীলতা আনা চ্যালেঞ্জ হতে পারে।
এসআর
মন্তব্য করুন: