খাদ্য অধিদপ্তরের আওতাধীন ১৩তম গ্রেডের ৬৯ জন কর্মচারীকে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক হিসেবে ‘চলতি দায়িত্ব’ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে ক্ষোভ ও অসন্তোষ দেখা দিয়েছে খাদ্য পরিদর্শকদের মধ্যে।
অভিযোগ উঠেছে, নীতিমালা লঙ্ঘন করে তাঁদের এই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এ নিয়ে সম্প্রতি খাদ্য অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ে সারা দেশের খাদ্য পরিদর্শক সমিতির সদস্যরা বিক্ষোভ করেছেন। তাঁদের দাবি, পদোন্নতির ক্ষেত্রে অনৈতিক লেনদেন হয়েছে।
খাদ্য পরিদর্শকদের অভিযোগ, এই পদায়নের ক্ষেত্রে জ্যেষ্ঠতার নিয়ম মানা হয়নি এবং বেশ কিছু অনিয়ম হয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী, পদোন্নতির জন্য গ্রেডেশন তালিকা অনুসরণ করতে হয়, যা এখানে করা হয়নি।
এর ফলে অনেক অভিজ্ঞ কর্মকর্তা বঞ্চিত হয়েছেন। অনেক ক্ষেত্রে প্রধান সহকারী, হিসাবরক্ষক, সুপারিনটেনডেন্টের মতো পদমর্যাদার কর্মচারীদের চলতি দায়িত্ব দিয়ে পদায়ন করা হয়েছে, যা নীতিমালার লঙ্ঘন বলে তাঁরা দাবি করছেন।
খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) মো. আব্দুল খালেক বলেছেন, "আমি নতুন দায়িত্ব নিয়েছি এবং বিষয়টি সম্পর্কে অবগত আছি। বিষয়টি আদালতে গড়িয়েছে, তাই আমরা আইনিভাবে মোকাবিলা করব।
ইতিমধ্যে রাজশাহী ও চট্টগ্রামের আদালতে এ বিষয়ে মামলা দায়ের হয়েছে। চট্টগ্রামের আদালতে দায়ের করা মামলায় খাদ্যসচিব ইসমাইল হোসেনসহ ঊর্ধ্বতন কয়েকজন কর্মকর্তাকে আসামি করা হয়েছে।
খাদ্য পরিদর্শক সমিতির সভাপতি মো. আব্দুর রহমান খান জানান, তাঁদের দাবি, যোগ্য কর্মকর্তাদের পদায়ন করা হলে তাঁরা কোনো আপত্তি করতেন না। অবিলম্বে এই পদায়নের প্রজ্ঞাপন বাতিল করে যোগ্য কর্মকর্তাদের দায়িত্ব দেওয়ার দাবি জানানো হয়েছে।
এসআর
মন্তব্য করুন: