আবু সাঈদ হত্যা মামলা: সাক্ষ্য দিতে ট্রাইব্যুনালে হাজির হাসনাত আবদুল্লাহ

জুলাই আন্দোলনের ‘প্রথম শহীদ’ রংপুর বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ হত্যাকাণ্ডে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাক্ষ্য দিতে ট্রাইব্যুনালে এসেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ।

মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) চেয়ারম্যান বিচারপতি নজরুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২–এ ২২ নম্বর সাক্ষী হিসেবে তার জবানবন্দি গ্রহণ করা হবে।

বর্তমানে গ্রেফতার ছয় আসামি

মামলায় গ্রেফতার হয়ে থাকা আসামিরা হলেন—

• এএসআই আমির হোসেন
• বেরোবির সাবেক প্রক্টর শরিফুল ইসলাম
• কনস্টেবল সুজন চন্দ্র রায়
• ছাত্রলীগ নেতা ইমরান চৌধুরী
• রাফিউল হাসান রাসেল
• আনোয়ার পারভেজ

এ পর্যন্ত সাক্ষ্যগ্রহণের অগ্রগতি

২৭ নভেম্বর ২১ নম্বর সাক্ষীর জেরা শেষ হওয়ায় সাক্ষ্যগ্রহণের ১৮তম দিন শেষ হয়।
এর আগে—

• ২৩ নভেম্বর: আবু সাঈদকে হাসপাতালে নেওয়া এক শিক্ষার্থী সাক্ষ্য দেন।
• ১৮ নভেম্বর: ছাত্র শান-এ রওনক বসুনিয়ার জবানবন্দি।
• ১৬ নভেম্বর: মিঠাপুকুর থানার ওসি নূরে আলম সিদ্দিক ১৭ নম্বর সাক্ষী হিসেবে দিনের ঘটনা তুলে ধরেন।
• ১৩ নভেম্বর: প্রত্যক্ষদর্শী নায়েক আবু বকর সিদ্দিকের সাক্ষ্য।
• ১২ নভেম্বর: এসআই আশরাফুল ইসলাম জানান, পুলিশি গুলিতেই আবু সাঈদ নিহত হন।
• ১১ নভেম্বর: কারমাইকেল কলেজের শিক্ষার্থী ইমরান আহমেদ সাক্ষ্য দেন।
• ১০ নভেম্বর: আন্দোলনের নেতৃত্ব দেওয়া শিক্ষার্থী আকিব রেজা খান পূর্ণ বিবরণ দেন।

অক্টোবর মাসে কয়েকবার সাক্ষী হাজির না হওয়ায় তারিখ পিছিয়ে যায়।
৬ অক্টোবর নবম দিনের সাক্ষ্যগ্রহণে এসআই রফিক ও এসআই রায়হানুল রাজ দুলাল জবানবন্দি দেন।

মামলার সূচনা ও অগ্রগতি

• ২৮ আগস্ট: আবু সাঈদের বাবা মকবুল হোসেন ও সাংবাদিক মঈনুল হক সাক্ষ্য দিয়ে মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়।
• ২৭ আগস্ট: চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলামের সূচনা বক্তব্যে বিচার আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু।
• ৬ আগস্ট: ৩০ আসামির বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠন।
• ২৪ জন আসামি এখনও পলাতক, তাদের পক্ষে রাষ্ট্রীয় খরচে আইনজীবী নিয়োগ রয়েছে।
• ২৪ জুন: তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হয়।
• মামলায় মোট সাক্ষী ৬২ জন।