সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর মো. রাশেদ খান সিনহা হত্যার
মামলায় হাইকোর্ট বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) টেকনাফ থানার সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশ ও পরিদর্শক মো. লিয়াকত আলী–এর মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখে। একই সঙ্গে ৬ জন আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ডও বজায় রাখা হয়েছে।
বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমান ও মো. সগীর হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই রায় ঘোষণা করেন। আসামিরা এখন ৩০ দিনের মধ্যে হাইকোর্টের এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করতে পারবেন।
রায়ে প্রত্যেক দণ্ডিত আসামিকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা দিতে হবে। যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন—
নন্দদুলাল রক্ষিত, রুবেল শর্মা, সাগর দেব, মো. নুরুল আমিন, মোহাম্মদ আইয়াজ ও মো. নিজাম উদ্দিন।
---
মামলার পটভূমি
২০২০ সালের ৩১ জুলাই রাত ৯:৩০ মিনিটে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভের শামলাপুর তল্লাশিচৌকিতে পুলিশের তৎকালীন কর্মকর্তা পরিদর্শক লিয়াকত আলীর গুলিতে নিহত হন সিনহা। পাঁচদিন পর, ৫ আগস্ট, নিহতের বোন শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌস বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন।
২০২০ সালের ১৩ ডিসেম্বর র্যাব ১৫ জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট জমা দেয় এবং হত্যাকাণ্ডকে ‘পরিকল্পিত’ হিসেবে উল্লেখ করে।
২০২২ সালের ৩১ জানুয়ারি কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালত রায় ঘোষণা করেন—
ওসি প্রদীপ কুমার দাশ ও পরিদর্শক লিয়াকত আলী–কে মৃত্যুদণ্ড
এসআই নন্দদুলাল রক্ষিত, কনস্টেবল রুবেল শর্মা ও সাগর দেব–কে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
মো. নুরুল আমিন, মোহাম্মদ আইয়াজ ও মো. নিজাম উদ্দিন–কেও যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
বাকি সাত আসামি খালাস পান। পরে মৃত্যুদণ্ড নিশ্চিতকরণের জন্য ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে আসে এবং আসামিরা আপিল করে।
এসআর
মন্তব্য করুন: