মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আজ রায় দিচ্ছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
প্রথমবারের মতো দেশের কোনো সাবেক প্রধানমন্ত্রী এমন মামলায় রায়ের মুখোমুখি হতে যাচ্ছেন।
জুলাই গণহত্যার দায়ে কী শাস্তি হতে পারে—এ নিয়ে দেশজুড়ে ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ব্যাপক আগ্রহ বিরাজ করছে।
দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর শহীদ পরিবারগুলো আজকের দিনটিকেই দেখছে বিচারের দিক থেকে ‘নির্ণায়ক মুহূর্ত’ হিসেবে।
রায় ঘিরে সুপ্রিম কোর্ট এলাকা ও ট্রাইব্যুনাল প্রাঙ্গণে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। পুলিশ, র্যাব, বিজিবি ও সেনাবাহিনী মোতায়েন রয়েছে।
গোয়েন্দা সংস্থাসমূহও সতর্ক অবস্থানে আছে। নিরাপত্তার অংশ হিসেবে রবিবার সন্ধ্যার পর দোয়েল চত্বর থেকে শিক্ষা ভবনমুখী সড়কে যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়, সীমিত করা হয় পথচারীদের চলাচল।
ট্রাইব্যুনাল–১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের বেঞ্চ আজ সোমবার (১৭ নভেম্বর) বেলা ১১টায় কার্যক্রম শুরু করবে।
এ মামলার আসামি তিনজন—সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল-মামুন।
মামলার মধ্যবর্তী সময়ে সাবেক আইজিপি মামুন রাষ্ট্রপক্ষের সাক্ষী হয়ে বিস্তৃত তথ্য দেন, যার ফলে তার শাস্তি বিষয়ে সিদ্ধান্ত ট্রাইব্যুনালের বিবেচনায় রয়েছে।
অন্য দুই আসামির বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের আবেদন করেছে প্রসিকিউশন। অন্যদিকে মামুনের খালাস দাবি করেছেন তার আইনজীবী যায়েদ বিন আমজাদ।
সব নজর এখন ট্রাইব্যুনালের রায়ের দিকে। আজকের দিনেই নির্ধারিত হবে রাজনৈতিক ইতিহাসের অন্যতম আলোচিত এই মামলার পরিণতি।
এসআর
মন্তব্য করুন: