[email protected] বুধবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৫
৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩২

শেখ হাসিনার রায় সরাসরি দেখবে গোটা বিশ্ব

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৬ নভেম্বর ২০২৫ ১২:৩৫ পিএম

চব্বিশের জুলাই গণহত্যা মামলায় মানবতাবিরোধী অপরাধের

অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের বিরুদ্ধে রায় ঘোষণা করা হবে সোমবার (১৭ নভেম্বর)। এ রায় আন্তর্জাতিকভাবে সরাসরি সম্প্রচার করা হবে বলে জানিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল ও সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে বড় পর্দায়ও রায় দেখার ব্যবস্থা করবে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়।

সূত্র জানায়, মামলার রায়কে কেন্দ্র করে দেশের সাধারণ জনগণসহ বিশ্ববাসীর নজর এখন বাংলাদেশের দিকে। এজন্যই রায় সরাসরি দেখানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, যাতে বিচারিক প্রক্রিয়া ভবিষ্যতের জন্য উদাহরণ হিসেবে থাকে।

ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের বেঞ্চ গত ১৩ নভেম্বর রায় ঘোষণার জন্য ১৭ নভেম্বর দিন নির্ধারণ করেন। বেঞ্চের অন্য দুই সদস্য হলেন বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ এবং বিচারপতি মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।

প্রসিকিউশনের পক্ষে চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলামসহ মিজানুল ইসলাম, গাজী এম এইচ তামিম, ফারুক আহাম্মদসহ অন্যরা দায়িত্ব পালন করেন। ২৩ অক্টোবর সমাপনী যুক্তিতর্কে অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান বিভিন্ন দেশের মানবতাবিরোধী অপরাধের দৃষ্টান্ত তুলে ধরে শেখ হাসিনা ও কামালের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানান। এরপর স্টেট ডিফেন্স ও প্রসিকিউশনের পাল্টা যুক্তি উপস্থাপন শেষে রায় ঘোষণার দিন ধার্য করা হয়।

এই মামলায় সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন রাজসাক্ষী হিসেবে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন। প্রসিকিউশন তার সাজা ট্রাইব্যুনালের বিবেচনার ওপর ছেড়ে দিলেও তার আইনজীবী খালাস চেয়েছেন। রায়ের দিনই তার ভাগ্য নির্ধারিত হবে।

৩ আগস্ট থেকে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয় এবং মোট ৮৪ সাক্ষীর মধ্যে ৫৪ জন আদালতে সাক্ষ্য দেন। প্রথম সাক্ষী খোকন চন্দ্র বর্মণ জুলাই–আগস্ট ২০২৪ সালের ভয়াবহ ঘটনার বিবরণ দেন। ৮ অক্টোবর তদন্ত কর্মকর্তা মো. আলমগীরের জেরার মাধ্যমে সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়। পাঁচটি অভিযোগে আসামিদের বিরুদ্ধে উসকানি, হত্যাকাণ্ড, মারণাস্ত্র ব্যবহার এবং লাশ পোড়ানোর ঘটনা অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

মামলার আনুষ্ঠানিক অভিযোগনামা ৮ হাজার ৭৪৭ পৃষ্ঠার। এতে প্রমাণাদি চার হাজার পাঁচ পৃষ্ঠা, তথ্যসূত্র দুই হাজার ১৮ পৃষ্ঠা এবং শহীদদের তালিকা সম্পর্কিত বিবরণ দুই হাজার ৭২৪ পৃষ্ঠা। গত ১২ মে তদন্ত প্রতিবেদন চিফ প্রসিকিউটরের কাছে জমা হয়।

 

এসআর

মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর