[email protected] বুধবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৫
৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩২

বিটিভিতে সরাসরি সম্প্রচারিত করা হবে শেখ হাসিনাসহ তিনজনের রায়

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৬ নভেম্বর ২০২৫ ১২:২৮ পিএম

সংগৃহীত ছবি

চব্বিশের জুলাই–আগস্টের গণঅভ্যুত্থানের প্রেক্ষাপটে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের রায় আগামীকাল (সোমবার) ঘোষিত হবে।

রায়টি বাংলাদেশ টেলিভিশন (বিটিভি) সরাসরি সম্প্রচার করবে।

গত ১৩ নভেম্বর বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদার নেতৃত্বাধীন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল–১ রায় ঘোষণার এই তারিখ নির্ধারণ করেন। বেঞ্চের অন্য দুই সদস্য ছিলেন বিচারক মো. শফিউল আলম মাহমুদ ও মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।

বহুল আলোচিত এ মামলায় শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামালের বিরুদ্ধে পাঁচটি অভিযোগ এনে তাঁদের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড চেয়েছে প্রসিকিউশন। অপরদিকে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবীরা তাঁদের নির্দোষ দাবি করে খালাসের আবেদন করেছেন।

রাজসাক্ষী হিসেবে থাকা সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের পক্ষে তাঁর আইনজীবীও খালাস প্রার্থনা করেছেন।

মামলায় প্রসিকিউশন পক্ষে শুনানি করেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম, প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম ও গাজী এস. এইচ. তামিম। এছাড়া প্রসিকিউটর বি. এম. সুলতান মাহমুদ, শাইখ মাহদি, আবদুস সাত্তার পালোয়ানসহ অন্যরাও উপস্থিত ছিলেন।
শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামালের পক্ষে শুনানি করেন রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী মো. আমির হোসেন। আর রাজসাক্ষী চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী যায়েদ বিন আমজাদ।

এ মামলায় মোট ৫৪ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ছিলেন গণঅভ্যুত্থানের প্রথম নিহত আবু সাঈদের বাবা ও অন্যান্য স্বজনহারারা। স্টার উইটনেস হিসেবে সাক্ষ্য দেন জাতীয় নাগরিক পার্টির আহ্বায়ক ও জুলাই আন্দোলনের অন্যতম নেতা নাহিদ ইসলাম এবং দৈনিক আমার দেশ সম্পাদক ড. মাহমুদুর রহমান।

চলতি বছরের ১০ জুলাই ট্রাইব্যুনাল–১ এ মামলার অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেয়। বিচার চলাকালে সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন দোষ স্বীকার করে ‘অ্যাপ্রোভার’ বা রাজসাক্ষী হিসেবে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেন।

২০২৪ সালের জুলাই–আগস্টে সংঘটিত ঘটনাবলির পর মানবতাবিরোধী অপরাধ ও গণহত্যার অভিযোগে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে একাধিক মামলা দায়ের হয়। বর্তমানে দুইটি ট্রাইব্যুনালে এসব অভিযোগ নিয়ে বিচারকাজ চলছে।

এসআর

মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর