[email protected] সোমবার, ১০ নভেম্বর ২০২৫
২৬ কার্তিক ১৪৩২

বাগেরহাটে চারটি সংসদীয় আসন বহাল রাখার নির্দেশ হাইকোর্টের

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১০ নভেম্বর ২০২৫ ৭:২৪ পিএম

সংগৃহীত ছবি

বাগেরহাট জেলার চারটি সংসদীয় আসন বহাল রাখার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

এর মাধ্যমে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) আসন সংখ্যা কমিয়ে তিনটি করার গেজেটকে অবৈধ ঘোষণা করা হয়েছে।

সোমবার (১০ নভেম্বর) বিচারপতি শশাঙ্ক শেখর সরকার ও বিচারপতি কে. এম. জাহিদ সারওয়ার কাজলের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন।

বাগেরহাটে চারটি আসন বহাল রাখতে দায়ের করা রিটের শুনানি শেষে আদালত এই আদেশ দেন। রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার শেখ মোহাম্মদ জাকির হোসেন। তাকে সহযোগিতা করেন অ্যাডভোকেট বিপ্লব কুমার পোদ্দার, অ্যাডভোকেট ফয়সাল মোস্তফা, অ্যাডভোকেট রাজিয়া সুলতানা, ব্যারিস্টার কাজী সামান্তা এনামসহ আরও অনেকে। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মো. ইকরামুল কবির।

এর আগে গত ১৬ সেপ্টেম্বর বাগেরহাটে চারটি আসন বহাল রাখতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না—তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছিলেন হাইকোর্ট।

বাগেরহাট প্রেসক্লাব, জেলা আইনজীবী সমিতি, জেলা বিএনপি, জেলা জামায়াতে ইসলামী, জেলা ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ও জেলা ট্রাক মালিক সমিতি—এ রিট দুটি করে। এতে সরকার, প্রধান নির্বাচন কমিশনার, নির্বাচন কমিশন সচিব ও অ্যাটর্নি জেনারেলকে বিবাদী করা হয়।

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে গত ৩০ জুলাই নির্বাচন কমিশন বাগেরহাটের চারটি আসন থেকে একটি কমিয়ে তিনটি করার প্রাথমিক প্রস্তাব দেয়। ওই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠন আন্দোলনে নামে এবং সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটি গঠন করে হরতাল-অবরোধসহ নানা কর্মসূচি পালন করে।

তাদের অভিযোগ ছিল, ইসির আসন পুনর্বিন্যাস জনমতের প্রতিফলন ঘটায়নি। পরে ৪ সেপ্টেম্বর কমিশন চূড়ান্ত গেজেট প্রকাশ করে, যাতে বাগেরহাটকে তিন আসনে ভাগ করা হয়।

তবে হাইকোর্টের এই রায়ের ফলে ১৯৬৯ সাল থেকে চলে আসা বাগেরহাটের চারটি সংসদীয় আসন—
বাগেরহাট-১ (চিতলমারী, মোল্লাহাট, ফকিরহাট),
বাগেরহাট-২ (বাগেরহাট সদর, কচুয়া),
বাগেরহাট-৩ (রামপাল, মোংলা)
ও বাগেরহাট-৪ (মোরেলগঞ্জ, শরণখোলা)
—আগের মতোই বহাল থাকবে। 

এসআর

মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর